কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কাজে অনিয়মের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান (সাময়িক বহিস্কার হওয়া) শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলমকে মারধর ও মামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার কচুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত শুনানী শেষে সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় মামলার বিবাদী উপজেলা চেয়ারম্যান (সমায়িক বরখাস্ত) শাহজাহান শিশির, প্রত্যক্ষদর্শী, সাংবাদিক ও ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারীসহ ৮জনের সাক্ষ্য ও লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজে পরিদর্শন কালে স্থানীয় এলাকাবাসী ঠিকাদার কর্তৃক ওই বিদ্যালয়ে নিন্মমান সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন বলে অনিয়মের বিষয়টি বিভাগীয় টিমকে অবগত করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির সম্পূর্ন নির্দোষ ও প্রকৌশলীকে মারধরের সাথে তিনি জড়িত নয় বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির একজন জনবান্ধব চেয়ারম্যান। তিনি মানুষের সুখে দু:খে পাশে থাকায় একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে শাহজাহান শিশির ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করে শাহজাহান শিশিরকে পূর্নবহাল করতে এলাকাবাসী জোড় দাবি জানান।
উল্লেখ্য যে, ১৯ জুলাই কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কাজে অনিয়মের ঘটনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলমকে মারধরের অভিযোগে শাহজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় চাঁদপুরে বিজ্ঞ নিন্ম আদালতে ২৫ আগষ্ট স্বেচ্ছায় জামিন চাইতে গেলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে। পরে শাহজাহান শিশির দীর্ঘ ৩মাস ১২ দিন কারাবরণ করে ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হন।