সিদ্দিকুর রহমান নয়ন,শাহরাস্তি চাঁদপুর থেকে
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা দখলের অভিযোগ করেছেন বাদী পরিবার।
ঘটনাটি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের চান্দল গ্রামে ঘটে।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত বাছির আহম্মেদের পুত্র নাজির আহম্মেদ ও আখতার আহম্মেদের কাছে ১৩/০৪/২০০২ সালে প্বার্শবর্তি মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম সাবকবলা দলিল মূলে ৪২ শতক জায়গা বিক্রি করেন। যার দাগ নং ১৫৮ নং চান্দল মৌজার সিএস-১০, আরএস- ২৬ ও ২৭, বিএস-২৭০, খারিজী- ২৪/৩ নং খতিয়ানের সাবেক দাগ ৩৭৭ হালে ৪০৩।
উক্ত জায়গা বেদখলমূলে শ্রেনী পরিবর্তন হওয়ার আশংকায় নাজির আহম্মেদ বাদী হয়ে একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র জসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি দরখাস্ত করেন। যার নং ১২২৪/২০১৯, ধারাঃ ফোজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৫, তাং ১৮/১২/২০১৯ইং
আদালতে দায়েরকৃত দরখাস্তের আলোকে জানা যায়, বাদী ও ১নং স্বাক্ষী খরিদাসূত্রে মালিক হয়ে উক্ত জায়গা দীর্ঘদিন যাবত ভোগদখলে থেকে ধান চাষ করতেন। বিবাদী উক্ত জায়গা দখল দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করছেন। বাদী ও ১নং স্বাক্ষীর নামে সাবকবলা দলিলমূলে ৪২ শতক জায়গা দখল দেয়ার জন্য নানান ষড়যন্ত্র করে আসছেন। গত ১৫/১২/২০১৯ইং রোববার সকাল ১০ টায় বাদী ও ১নং স্বাক্ষীর খরিদকৃত জায়গা জোরপূর্বক দখল দিয়ে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করবে এবং জলপতিত ওই স্থানে মৎস্য চাষ করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী প্রদর্শন করেন। এমতাবস্থায় বিবাদী কর্তৃক জায়গা দখল বা শ্রেনী বিবর্তন করতে না পারার জন্য বাদী স্থিতাবস্থা বজায়ে রাখতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এব্যাপারে দরখাস্তের বাদী মোঃ নাজির আহম্মেদ বলেন, আমি এবং ভাই আখতার আহম্মেদ দু’জনে একই দলিলে যৌথ ভাবে মৃত শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৪২ শতক জায়গা ক্রয় করি এবং সাবকবলা দলিলমূলে ওই জায়গায় দখলদার হই। দখলদার অবস্থায় নিজ দায়িত্বে চাষাবাদ করি।
আমি বাদীর অনুপস্থিতে বিবাদী সুকৌশলে ওই জায়গা দখল দেন এবং উল্টো আমাদের হুমকী-ধমকি প্রদান করেন। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জায়গা রক্ষায় আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছি।
বিবাদী জসিম উদ্দীন বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্যি- আমি ওই জায়গার মালিক নই। ওই জায়গার প্রকৃত মালিক খায়রুন্নেছার পুত্র খোকনের কাছ থেকে ৭ বছর আগে অর্থ লগ্নিতে গ্রহন পরবর্তি চাষাবাদ করে আসছি। অযথা আমাকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। যা করা আধৌ ঠিক নয় বলে তিনি জানান।
উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই কমল ত্রিপুরা বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি এবং পরবর্তি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছি।
এলাকাবাসী বলেন, আবদুল আজিজের ৩ পুত্রের মধ্যে মোহাম্মদ মিয়া সবার বড় ছিলেন। তিনিও একপুত্র ও এককন্যা সন্তান রেখে যান। ওই সময় তাদের অনেক সম্পদ ছিলো। শফিক মিয়া চট্টগ্রামে থাকতেন। তিনি তার অংশের সমস্ত জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন। বিবাদমান জায়গাটি শফিক মিয়ার বোন খায়রুন্নেছার কিনা তা আমরা জানি না। তবে নাজির আহম্মেদ শফিক মিয়ার কাছ থেকে খরিদাসূত্রে ওই জায়গার মালিক হলেও খায়রুন্নেছা পিতার হিস্যানুযায়ী প্রাপ্ত জায়গার অংশ হিসেবে নিজ পুত্র খোকনকে দান কবলা করে দেন ওই জায়গা। যে কারনে ঘটনাটি রয়েছে বিবাদমান। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার বিবাদী জসিম চুক্তিপত্রের মাধ্যমে খোকনের কাছ থেকে লাগিয়াতে ওই জায়গা গ্রহন করেন। উক্ত সমস্যা স্থানিয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে নিরসন করা উচিত বলে তারা জানান।