নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময়কালে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
অডিটোরিয়ামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার, কুররাতুল আইন কানিজ, ইফতেখার আলম, ফয়সাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, অনিমা চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ছাত্র আন্দোলনে নাটোরে হতাহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আলোচনা শুরু হয় তাঁদের। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে প্রবেশ করেন। এরপর সবাইকে চেয়ারে বসতে বলা হলে উল্টো আয়োজকদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা।
একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েও কাজে আসলো না, পুরো ব্যর্থ হন। তবে খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে শিক্ষার্থীদের অন্য একটি পক্ষের দাবি, যারা প্রকৃতপক্ষে নাটোরের আন্দোলনে আহত হয়েছেন, তাদেরকে আজকের আয়োজনে না রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা, ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাঁরা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নাটোরের কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রতিবাদও করেন।
আয়োজক কমিটির এক সদস্য তৌফিক নিয়াজ জানান, মতবিনিময় সভা শুরু পর হঠাৎ বহিরাগত কিছু লোকজন সভাকক্ষে ঢুকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করেন। আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন এবং সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কি হয়।
ছাএদের দাবী মানছেনা সমন্বয়করা।
তিনি জানান, পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সভার কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনাটি রাজশাহী জোনের বিভাগীয় ছাত্র-মৈত্রী সফরের প্রতিনিধিদের সামনে হয়েছে। প্রতিনিধিরা ঘটনাটি দেখেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী এবং পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইনের সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি