শামীম আহম্মেদ জয়, মতলব প্রতিনিধি :
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার পশ্চিম জোরখালী গ্রামে সোলেমান আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তিনজনের ফাঁসীর দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার জোরখালী কাঠ বাগানে শত শত নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মৃত সোলেমান (১৭) কে চোর উপাধি ও শারীরিক নির্যাতন করায় আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে মো. রেজাউল করিম (৩৫), মো. আজিজুল হক (৬৫), আ. মালেক বেপারী (৫৫) এই ৩ জনের ফাঁসীর দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মামলার বাদী নিহতের চাচা তপন বেপারী, নিহতের মা হাওয়া বেগম, দাদা হযরত আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে এসে নিহতের মা বক্তব্য দেয়ার সময় বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আর বলেন, মামলার বিবাদীরা সমাজের খারাপ প্রকৃতির লোক। ওরা সবসময় আমার পরিবারের উপর জুলুম করত। ঘাতকরা মিথ্যে অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করল, আমি রেজাউল করিম ও তার সহযোগীদের ফাঁসী চাই।
নিহতের চাচা ও মামলার বাদী তপন জানান, গত ২৫ জুলাই রাতে মামলায় উল্লেখিত ১নং বিবাদীর বাসত ঘরে কে বা কাহারা চুরির উদ্দেশ্যে আসে। উল্লেখিত বিবাদীরা আমার ভাতিজাকে চুরি করার মিথ্যা অপবাদ সহ মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফোলা জখম করে খ্যান্ত হননি। পুনরায় ২৮ জুলাই বিচারের দিন ধার্য্য করে। বিধায় আমার ভাতিজা সোলেমান মানসিকভাবে ভেংগে পড়ে। বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সাথে সাথেই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলে উনারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে জানান। কিন্তু বিবাদীরা বিভিন্নভাবে আমার ভাতিজাকে চোর অপবাদ ও আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচিত করে। বিধায় ২৬ জুলাই রাতে আমার ভাতিজা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন সকালে মামলার ৩নং স্বাক্ষী নাছিমা বেগম গাছের সাথে সোলেমানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে গাছের ঢালের সাথে ঝুলন্ত সোলেমানকে নিচে নামিয়ে সুরতহাল প্রস্তুত করিয়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই রাতে সোলেমান (১৭) কিশোর গলায় ফাঁস দিযে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর রেজাউল করিম গংদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা হয়।