শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

পাঁচবিবিতে অনাবৃষ্টি জনিত লিচুর ফলন হ্রাস, বাগান মালিকের মাথায় হাত

সাখাওয়াত হোসেন,পাঁচবিবি প্রতিনিধি / ১৪১ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

 

অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে পাঁচবিবিতে লিচুর ফলন হ্রাস পেয়েছে। চলতি মৌসুমে লিচুর মৌসুমের শুরুতে পাঁচবিবির বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমানে লিচুর গুটি এসেছিল বলে জানান বাগান মালিকরা। কিন্তু তীব্র তাপদাহে লিচুর সকল গুটি পড়ে গেছে।
পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নির্মল রায়ের এক বিঘা জমিতে ৪৫ টি গাছ রয়েছে। তিনি জানান, এতোগুলো গাছে একটিও লিচু ধরে নাই। বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের বেদারুল ইসলাম জানান, আমার তিনবিঘায় লিচু বাগান আছে। এখানে ৮০-৮৫ টা গাছ রয়েছে। পূর্বের বছরগুলোতে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় আসে বাগান থেকে। তবে এবার ফলন নেই বললেই চলে। উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লিচুর গাছ রয়েছে, তবে তীব্র তাপদাহের ফলে কোনো গাছে লিচু ধরেছে আবার কোনটিতে ধরেনি।
কাঁশপুর গ্রামের নিবারনের ১ টি বাগান , বরগাছা গ্রামের সফিকুলের ১ টি, বীরনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও আঁটুল গ্রামের মিজানুর রহমান সকলেই বলেন এবার অনাবৃষ্টির কারনে ফলন ব্যাপক পরিমানে কম হয়েছে। ফলে লিচুর ফলনে এবার লাভ হবে না। ও সকল বাগান মালিকরা হতাশায় ভুগছেন।
কুটাহারা গ্রামের আমানুল্লাহ খান বলেন, “আমার ১ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে, প্রতিবছর আমি নিজেই গাছ থেকে লিচু ভাঙ্গি এবং হাতে বিক্রয় করি, তাতে অনেক টাকা আমার রোজগার হয়। এবং বাড়ি ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদাও মিটাই। বাগান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর আমি আশানরূপ ভাবে ফলন পেয়েছি। কিন্তু এবার তীব্র তাপদাহ ও খরার ফলে লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝরে পড়ে গেছে। যেসব বাগানে লিচুর ফুল দেরিতে বের হয়েছে সেগুলো কিছুটা বৃষ্টি পাওয়ায় সামান্য ফল হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলাতেও একই অবস্থা, লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। যেসকল বাগানে লিচু রয়েছে, বাজারে লিচুর মূল্য বেশি হওয়ায় কাঁচা লিচুই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল জাতের লিচু ৫০০ টাকা ও নিম্ন মানের লিচু ৩০০ টাকা প্রতি একশত পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পাঁচবিবিরবাজারগুলোতে। তবে পুরোদমে বাজারে এখনো লিচু আসেনি।
বাগজানা গ্রামের শিক্ষক আলহাজ্ব আওফের হোসেন বলেন, আমার বাগানে গতবছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছিল, এবার অনাবৃষ্টিতে ফলন কম হয়েছে। যতসামান্য কিছু টাকা আসতে পারে তবে খরচ উঠবে না।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!