রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলা ১ নং ইউসুফ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসানুর রহমানের মদ সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে ছাত্রলীগ নেতাকে একটি ঘরের মধ্যে বসে মদ সেবন করতে দেখা যায়।এবং ফোনে অপর এক ব্যাক্তি কে বলে সব চাইনা মাল বন্ধু।
এ দিকে জানা যায় ২৭/৯/২০২৩ ইং এ চারঘাট-বাঘা উপজেলা থেকে মোট ৬ জনকে চায়না সফরে পাঠান সাবেক মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি মহোদয়,, আর সে সফরে গিয়ে মদ সেবন করে বলে জানা যায়। এ ছাড়া ছাএলীগের একাধিক অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বিষয় টা খারাপ চোখে দেখছে এবং বলছে এদের মত ছেলেদের জন্য ছাএলীগের বদনাম,হাসানুরকে বহিষ্কার এর মাধ্যমে একটি বার্তা পোঁছানো হোক কোন মাদক সেবির ছাত্রলীগে স্থান নাই ।
হাসানুর রহমান রাজশাহী জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বলেও জানা গেছে।
হাসানুর এর বাড়ী রাজশাহী জেলার, থানাঃ কাটাখালী, গ্রামঃ টাংগন এর মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে।
১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ভিডিওটি গত রবিবার থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে হাসানুরকে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে হাসানুর বলে এটা এডিট করা ভিডিও,,,
হাসানুরের মদ সেবনের বিষয়ে নাম ও ছবি প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলেন, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কাছের লোক হওয়ায় নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রলীগের কমিটিতে এসব মাদকসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এসব মাদকসেবীদের অবিলম্বে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও বিতাড়িত করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাএলীগ সভাপতি আল-মামুন তুষার ফোন করে নিউজ টা না ছাড়ার কথা বলে, নিউজ আপডেট দেওয়ার সময় আল-মামুন তুষার কে মুঠোফোনে ফোন করা হলে আল মামুন তুষার বলেন নিউজ করেদেন ভাই,, যার রেকর্ড মুঠোফোনে সংরক্ষিত আছে।
এদিকে সাংবাদিক কে মুঠোফোনে ফোন করে, মো:হেদায়েতুল ইসলাম
প্রধান শিক্ষক
সালেহ শাহ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়।বলেন মদ সেবন কোন বিষয় না এটা করতেই পারে, হুমকি সহিত বলে নিউজ টা করেন না নয়তো ফল ভাল হবে না। যা রেকর্ড মুঠোফোনে সংরক্ষিত আছে,,,
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে রাজশাহী জেলা ও চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, ‘রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সর্বদা মাদকের বিরুদ্ধে। যে মুখে মা ডাক হয়, সে মুখে মাদক নয় এই স্লোগানে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। যদি ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে তবে যাচাই করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি এ নেতাদের।