গতকাল গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর উপজেলা পুর্ব চান্দরা(জালাল গেইট) এলাকার দর্জি দোকানদার (বনবিভাগের জমিতে বাড়ি) আনোয়ারার এর বাড়ির ভাড়াটিয়া গত২ বৎসর পূর্বে প্রতারক মোঃ মামুন (৩৬), পিতা- মোঃ নুরুল, সাং- মারাধার দক্ষিনপাড়া, থানা- হরিপুর, জেলা- ঠাকুরগাও, সহিত তাহার বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতেই উক্ত প্রতারক মামুন তাহার সহিত বিভিন্ন রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়াছে । উক্ত প্রতারক মামুন ঠিকমত সংসারের ভরন পোষন করেন না । উক্ত মামুন নির্যাতিত নারীকে বিবাহের পূর্বে আরো একাদিক বিবাহ করিয়াছে। উক্ত বিষয়টি তাহার জানার পর প্রতারক কে কিছু বলিলে প্রতারক তাহাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিত। অনুমানগত ০৩ মাস পূর্বে উক্ত প্রতারক অভিযোগ কারীকে বলে যে, সে অটো রিক্সা চালাইবে। তাহাকে কিস্তির মাধ্যমে একটি অটো রিক্সা কিনিয়া দেওয়ার জন্য। তখন উক্ত প্রতারক অভিযোগ কারীর কাগজপত্র ব্যবহার করিয়া অভিযোগ কারীকে না জানাইয়া একটি অটো রিক্সা, মূল্য অনুমান- ১,২০,০০০/- টাকা
কিস্তিতে ক্রয় করে। এরপর উক্ত প্রতারক একই ভাবে অভিযোগকারীর নামে অভিযোগকারীকে না জানাইয়া অনুমান ০২ মাস পূর্বে ব্র্যাক ব্যাংক হইতে ৮০,০০০/- টাকা, অনুমান ০৩ মাস পূর্বে গ্রামীন ব্যাংক হইতে ৫০,০০০/- টাকা, এবং ০৬ মাস পূর্বে ব্যুরো বাংলাদেশ হইতে ৬০,০০০/- টাকা এবং অন্য একটি এনজিও হইতে ১৫,০০০/- টাকার কিস্তি তুলে। উল্লেখিত কিস্তির টাকার বিষয়ে উক্ত প্রতারক অভিযোগকারীকে কিছু জানায় নাই। এরপর আমি উক্ত বিষয়টি জানিয়া অভিযোগকারীকে জিজ্ঞাসা করিলে প্রতারক অভিযোগকারীকে খুন করার হুমকি প্রদান করিয়া চুপ থাকিতেনবলে অভিযোগকারী। এছাড়াও উক্ত প্রতারক অভিযোগকারীর ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করিয়া নিয়া অন্যত্র বিক্রয় করে। উক্ত প্রতারক অটো রিক্সা চালাইলেও সে সংসারে কোন টাকা দিত না। অভিযোগকারীকে চাকুরী করিয়া অনেক কষ্টে সংসার চালাইতে হইতো। এছাড়াও উক্ত বিবাদী বিভিন্ন দোকান হইতে অনুমান ৭,০০০/- টাকা বাকীতে মালামাল
ক্রয় করিয়াছে। গত ইং- ০৯/১১/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকায় অভিযোগকারী তাহার কর্মস্থলে চলিয়া যায়। ঐদিন রাত্র অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকায় অভিযোগকারী অফিস হইতে বাসায় আসিয়া অভিযোগকারীর প্রতারক এর খোজ করিয়া কোন সন্ধান পান নাই। এরপর যথাযথ সময়ে উক্ত প্রতারক অভিযোগকারীর বাসায় ফিরিয়া না আসায় তাহার মোবাইল ফোনে ফোন করিলে ফোন বন্ধ পান ।
অভিযোগ ঘরে খোজ নিয়া দেখে যে, ঘরে থাকা উক্ত কিস্তির জমানো নগদ ১,০০,০০০/- টাকা এবং অটো রিক্সাটি নাই। এরপর উক্ত প্রতারক আর বাসায় ফিরে নাই। প্রতারক এর তুলা কিস্তির টাকার জন্য কিস্তির লোকজন অভিযোগকারীর উপর চাপ সৃষ্টি করিতেছে । প্রতারক মোঃ মামুন অভিযোগকারীর ঘর হইতে উল্লেখিত নগদ টাকা ও অটো রিক্সাটি চুরি করিয়া অজ্ঞাতস্থানে চলিয়া গিয়াছে। প্রতারক কে খোজাখুজি করিয়া না পাইয়া থানায় হাজির হইয়া অভিযোগ দায়েরে বিলম্ব হইয়াছে বলেন ।
কালিয়াকৈর থানা অফিসার ইনচার্জ এর কাছে লিখিত প্রার্থনা করেছে যে, উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে অনুরোধ করেছেন ।