কচুয়া উপজেলা নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত জসিম উদ্দিন পাটোয়ারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে,ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানাযায় মোঃ জসীমউদ্দিন পাটোয়ারী পিতা-মৃতঃ আব্দুল হামিদ পাটোয়ারীর ছেলে গত রমজান শেষে ঈদ উপলক্ষে বাড়ীতে আসার পর বন্ধুদেরকে নিয়ে মাদক পান করে হঠাৎ অসুস্থ হলে,তাৎক্ষণিক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জসিম উদ্দিন কে তার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
মৃত জসিম উদ্দিনকে পরে তার গ্রামের বাড়ীতে এনে দাফন করা হলে,পরবর্তীতে মৃত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সেফালী বাদী হয়ে ভিকটিমের ৬/৭ জন বন্ধুদের সন্দেহভাজন বিবাদী করে, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা কোর্টে মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা সেফালী বলছেন আমার স্বামীকে মাদক সেবনকারী তার বন্ধুরা বিষ পান করানো হয়েছে বলে মনে করেন।
তাই মামলাটির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে চাঁদপুর জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ার ২২শে মে-২০২২ইং তারিখের একটি স্বাক্ষরিত একটি আদেশ কপিতে লিপিবদ্ধ করেন যে পুনরায় কবর থেকে লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
লাশটিকে উত্তোলন করে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভূমি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইবনে আল জায়েদসহ কচুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃমহিউদ্দীনকে আদেশ কপি প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এর আদেশ পেয়ে দ্রুত কচুয়া উপজেলা ভূমি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ, ওসি মোঃমহিউদ্দীনের নির্দেশনায় তদন্ত অফিসার এ এস আই মোঃছানাউল্লাহ, এস আই মোঃ হাবিবুর রহমান,রামু সেন কয়েকজন পুলিশ সদস্যদেরকে নিয়ে ভিকটিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের চাঁদপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়।