সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রংপুরে কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা গ্রেফতার জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন আওয়ামী লীগ নেতা  খুলনায় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনার উদ্বোধন বিভাগীয় প্রশাসন রংপুরের আয়োজনে অভিযাত্রিকের সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হেলিকপ্টার ব্যাবসায় সীমান্ত, সঙ্গী হলেন বারিশ বৈশাখী টিভির মিউজিক্যাল শো-তে ফারিহা পাঁচবিবিতে কড়িয়া মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষায় এবারও জেলার শীর্ষে পাঁচবিবিতে পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি নিহত, পুত্রবধু আটক বকশীগঞ্জে রাতের আঁধারে পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে! অধিকার পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে ঘোড়া মার্কার গনসংযোগ ও পথসভা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই ………অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন আমিরাতে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে শুভ মহারাম নবমী উদযাপন দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েছে
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

নওগাঁয় আবারও কালবৈশাখীঝড়ের তান্ডবে আমের কেজি পানির দামে, কেনার কেউ নেই-দৈনিক বাংলার অধিকার

উজ্জ্বল কুমার সরকার,নওগাঁ প্রতিনিধি / ১৬০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ২১ মে, ২০২২, ৮:১৩ অপরাহ্ণ

আবারও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত মণ আম ঝরে পড়েছে কেনার কেউ নেই
জেলার সাপাহারের আম বাগান গুলোতে,আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে।
গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো কালবৈশাখীর হানায় আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২০ মে) সাপাহারের আমবাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়। ঝরে পড়া আম কেনার ধুম পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি আম কিনছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষিরা বলছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, নাক ফজলী, আম্রপলী, বারি-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও নাক ফজলী জাতের আম বেশি ঝরেছে।
সাহাপাড়া গ্রামের আমচাষি তরুণ সাহা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘২০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। যা বাজারে বিক্রি করতে এসে মাত্র ২-৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, গত রাতের কালবৈশাখীর তান্ডব আমের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাতে করে এ বছরে আম বাজারের গতি অনেকটা পাল্টে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
আমচাষি সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমার প্রায় ১শ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। যাতে করে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই এলাকার সুনাম সারাদেশেই রয়েছে। তবে যদি আম সংরক্ষণাগার বা কোন জুস কোম্পানি থাকতো তাহলে কাঁচা আম বিক্রয়ে এতোটা লোকসান বহন করতে হতো না আম চাষিদের।’
উমইল গ্রামের আম ব্যবসায়ী মকছেদুল হক ‘৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ আম কিনছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানিতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিমণ আমে ২০-২৫ টাকা লাভ হতে পারে।’
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল কালবৈশাখীর কবলে পুরো উপজেলায় ২ শতাংশ আম ঝরেছে। যার মধ্যে ল্যাংড়া ও নাকফজলী বেশি ঝরেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে। তবে ২-৩ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রয় হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!