শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি পাঁচবিবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শিখার পক্ষে কাজ না করতে নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপির নির্দেশ পাঁচবিবিতে বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা অনুষ্ঠিত ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন সুন্দরবন নিউজ টিম পূবাইলে কথা-কাটাকাটি জেরে,ভাড়াটিয়া পরিবারকে হত্যার চেষ্টা,নারী-বৃদ্ধসহ আহত ৬ কুড়িগ্রামে দুটি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান; একটিকে জরিমানা অপরটি বন্ধ ঘোষণা পাঁচবিবি দারুল ইসলাহ একাডেমীর শিক্ষার্থীদের সাফল্য কুমিল্লায় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে মানববন্ধন দাকোপে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই শিশুর বকশীগঞ্জে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী’র
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ধর্ষণের কথা ফাঁস করে দিতে চাওয়ায় ৬ টুকরা করে জোৎস্নাকে–দৈনিক বাংলার অধিকার

সিলেট জেলা প্রতিনিধি / ১৩৮ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৩ অপরাহ্ণ

ধর্ষণের মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার ২ আসামি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ফার্মেসির ভেতরে প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার (৩৪) ছয় টুকরা লাশের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

সিআডি যানায় -জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সমস্যার কথা স্থানীয় ফার্মেসি মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপকে জানালে তিনি তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলেন। এরপর ফার্মেসিতে গেলে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হন জোৎস্না। ধর্ষণের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে জিতেশসহ তিনজন জোৎস্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফল কাটার ছুরি দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরা করে।

গ্রেফতাররা হলো- জিতেশ চন্দ্র গোপ (৩০), অনজিৎ চন্দ্র গোপ (৩৮) ও অসীত চন্দ্র গোপ (৩৬)।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিআইডির সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান থেকে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার ছয় টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জোৎস্না জগন্নাথপুর থানার নারকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরকু মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মুক্তা ধর বলেন, ওষুধ কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক গোপন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোৎস্নার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তখন জোৎস্না তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে সে তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলে।

ওইদিন বিকেলে জোৎস্না জিতেশের দোকানে গেলে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এদিকে রাত গভীর হলে জোৎস্নার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেয় জিতেশ। এতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখন জিতেশ তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত গোপকে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি জোৎস্না তার পরিবারকে জানাবে বলে জানান। তখন জিতেশ ও তার সহযোগীরা জোৎস্নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

মুক্তা ধর বলেন, পরে ওই ফার্মেসিতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে জোৎস্নার দুই হাত, দুই পা ও বুক-পেটসহ ছয় টুকরা করে। এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টন দিয়ে খণ্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে তারা ফার্মেসি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই মরদেহের খণ্ডিত অংশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় ও লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেনি।

এই ঘটনার পর সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামিদের গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিতেশকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনজিৎ ও অসীত গোপকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জিতেশ চন্দ্র গোপ কিশোরগঞ্জ জেলার ইতনা থানার শহিলা গ্রামের যাদব চন্দ্র গোপের ছেলে, অনজিৎ চন্দ্র গোপ একই এলাকার রসময় চন্দ্র গোপের ছেলে এবং অসীত চন্দ্র গোপ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার সুয়াইর অলিপুর গ্রামের পতিত পবন গোপের ছেলে।

নিহত জোৎস্না ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও ভাই-বোনদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!