মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁ প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হায়াত নুরুন্নবী তার নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট টাইমলাইনে আজ রবিবার ১৭ ই মে “করোনার বিষাক্ত ছোবলে, ক্ষুদ্র ও সাধারণ দোকান ব্যবসায়ীরা এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন ৷ তার স্ট্যাটাসটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হল ৷ ঠাকুরগাঁও জেলার সকল কাপড়ের দোকান,তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিস্ ও জুতার দোকানসমূহ বন্ধ ঘোষণা সূত্র-DC Thakurgaon ধন্যবাদ ঠাকুরগাঁ জেলা প্রশাসন কে। করোনার সংক্রামন রোধে এর কোন বিকল্প ছিল না প্রশাসনের হাতে। বাংলাদেশের মত ঘন বসতি জনসংখ্যার দেশে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলে বেচাকিনি করা প্রায় অসম্ভব বিষয়। আমরা সবাই একমত হয়ে চাইলেও তা মেনে চলা সম্ভব ছিল না। জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে বাংলাদেশ দশম বড় দেশ। এখানকার প্রতি বর্গকিলোমিটারে থাকেন ১ হাজার ২শ ৬৫ জন মানুষ। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বসবাস করে শহরে। দিন দিন শহরমুখী মানুষের ঢল বাড়ছেই। প্রয়োজনের তাগিদেই বাড়ছে শহর। আধুনিক নাগরিক জীবনের সুবিধা পেতে লাখ লাখ মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। এর সংগে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আধুনিক দোকানপাট সুসজ্জিত শপিংমল। ঈদ বাংলাদেশে সব থেকে বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। ঈদকে উপলক্ষ করে সকল ব্যবসায়ীদের সারা বছরের একটা বড় আয়োজন ও পুঁজি বিনিয়োগ থাকে ব্যবসায়, আর সেটা চার পাঁচ মাস আগে থেকেই করে থাকে। করোনা সংকটের কারনে ঈদে মার্কেট বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকায়, একটা বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপদে পরতে পারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকান ব্যবসায়ীরা। করোনার ছোবল এখন শুধু অসচ্ছল হতদরিদ্র আর কর্মহীন মানুষরাই নয়, ক্ষুদ্র মাঝারি দোকান ব্যবসায়ীরাও ঋণের চাপে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই শুধু দোকানপাট বন্ধ করেই সমাধান নয়, এদের বিষয়ে সরকারের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকাও জরুরি।