আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় ৯৯ খুলনা-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁর অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দলের এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সভানেত্রী যদি যোগ্য মনে করে তার হাতে নৌকা তুলে দেন, তিনি সানন্দে সে দায়িত্ব মাথায় তুলে নেবেন এবং শতভাগ সততার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করবেন।
কে এই নান্টু রায়?
জন্ম ১৯৬৪ সালের ১ নভেম্বর খুলনা জেলার সুন্দরবনসংলগ্ন দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ গ্রামে। ১৯৭১ সালে পিতাকে হারান ভারতে শরণার্থীজীবনে। শৈশবের গণ্ডি পেরোবার আগেই ১৯৭৪ সালে ভাইয়ের হাত ধরে খুলনা শহরে আগমন এবং বি কে স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি। ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে এই স্কুল থেকে বৃত্তিলাভ। এরপর ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল হাই স্কুল ও নটরডেম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগে পা রাখা ১৯৮২-৮৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণীতে।১৯৮৬ সালে স্নাতকোত্তর। স্নাতক ডিগ্রিলাভের আগেই এপিয়ার্ড সনদ দিয়ে ৮ম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সাফল্য অর্জন। যদিও বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতকের সনদপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায় চাকরিতে যোগদান করা সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে বাংলার বাণীতে সহ-সম্পাদকের চাকরিলাভ এবং এখানেই আজকের আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা— শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অসীম কুমার উকিল প্রমুখের স্নেহ এবং শফিকুর রহমান, আবদুর রহমান, শেখ আবদুল্লাহ, মোল্লা কাওসার এবং আরো বহু বহু নেতার সান্নিধ্যলাভ। বাংলার বাণীতে এক দশক— ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৭। একবছর দৈনিক মুক্তকণ্ঠে সিনিয়র সহ-সম্পাদক পদে অতিবাহিত করে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে ভারত বিচিত্রায় সরাসরি সম্পাদক হিসেবে যোগদান। সেখানে দুইযুগ কাটিয়ে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগদান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। প্রথমে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মতদ্বৈধতার কারণে ‘হারমোনিয়াম পার্টি’ ছেড়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান। সাহিত্য ও লেখালিখিতে আগ্রহ থাকায় উভয় ছাত্র সংগঠনে সাহিত্য সম্পাদকের পদপ্রাপ্তি। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে নূর হোসেনের গায়ে যখন গুলি লাগে, আমি তখন পল্টনে মিছিলের শেষভাগে।
পরে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মীর্জা আজমের নেতৃত্বাধীন যুবলীগে যোগদান এবং ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ লাভ।
২০০৬-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্বাচীনের মত এমপি মনোনয়ন চেয়ে আন্চলিক নেতাদের রোষানলে পড়ে যান। সে নির্বাচন অবশ্য পিছিয়ে যায়, কিন্তু পারিবারিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজনীতিতে সাময়িক ছেদ পড়ে।
ফলে ২০০৮-এর নির্বাচনে তিনি নিজের জন্যে সময়ক্ষেপণ না করে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত এমপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় লিপ্ত হন। সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিনি দলীয় কার্য়ক্রমে অংশগ্রহণ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ খুলনা মহানগর কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ লাভ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নিযুক্ত করেন। এর পরপরই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা কমিটির নির্বাহী সদস্যপদ লাভ করেন।