পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা গ্রামের গোসিংগা পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র (দক্ষিন দিকে) বিলবিলাস আমির মোল্লা বাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির উপর থেকে ইটের খোঁয়া, পেইজ সরে গিয়ে গর্তো তৈরি হয়েছে। দুই এপ্রোচ ভেঙ্গে পুকুর ও চাষের জমির সাথে মিশে গেছে।
এলাকাবাসী থেকে জানাগেছে, বঙ্গবন্ধু নামে সড়কটি নামকরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নাম এর সম্মানার্থে সড়কটির উন্নয়ন ঘটবে এলাকাবাসীর স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ছোটো বড়ো শতাধিক গর্তো সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের দুই তিন হাত পর পর বড়ো বড়ো গর্তো হয়ে ইটের খোঁয়া পেইচ উঠে গিয়ে কাঁদা পানি জমে থাকে। সড়কে উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গর্তের মধ্যে জমে থাকা কাঁদা পানি ছিটকে স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীর জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি যাওয়ার পথে গোসিংগা মহিলা মাদ্রাসা, বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল কলেজ উপজেলা সদরসহ হাজার হাজার লোক চলাচল করে থাকে। সড়কের উপর দিয়ে প্রায় দৈনিক ২০ থেকে ৩০টি অটো ও রিকসা চলাচল করে থাকে।
অভিযোগ হচ্ছে, গোসিংগা পল্লী বিদ্যুৎ বঙ্গবন্ধু সড়কটি পাশ ঘেষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন খানসহ এলাকায় ডর্জন খানেক সরকারি কর্মকর্তা এলাকার বাইরে উচ্চ পদস্থ পদে কর্মরত রয়েছে। কর্মরত রয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচল অযোগ্য হলেও কোনো কর্মকর্তার নজরে আসেনি। গোসিংগা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা রেজাউল আক্ষেপ করে সাংবাদিককে জানান, সড়কটির মধ্যে বড়োবড়ো গর্তো হয়ে গেছে। বিশেষ করে, গোসিংগা ইছাহাক মাস্টার দরজায়, জয়নাল খান বাড়ী, কারিকর বাড়ি, মুনসী বাড়ি দরজায় দু সড়কের এপ্রোচ ভেঙ্গে গেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অটো দূর্ঘটনা শিকার হয়ে থাকে। দুরত সড়কটি মেরামত না হলে এ বর্ষা মৌসুমে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি সাংবাদিককে আরো জানান, এ সড়ক চলাচল নাজুক থাকায় বিকল্প রাস্তা হিসাবে চলাচল করতে গিয়ে বিলবিলাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় (নজির মিয়া বাড়ি দরজা) থেকে আমির মোল্লা বাড়ী ব্রীজ, রাজাবাড়ী দরজা হয়ে গোসিংগা লালমিয়া বাড়ী দরজা পর্যন্ত সড়কটি একই অবস্থা। রাস্তার তিনের দুই অংশ ভেঙ্গে গেছে। সড়কটি পাশে মুক্তিযোদ্ধা কবর এবং একাধিক মুক্তিযোদ্ধা বাড়ী রয়েছে।
জাতীয় সংসদ সদস্য সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ এমপিসহ উপজেলা প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক ও মুক্তিযোদ্ধা যোদ্ধার সম্মানার্থে এ সড়কটি সংস্কার করা হোক।