নওগাঁর মহাদেবপুরে জনতার হাতে কথিত জিনের বাদশা দলের এক সদস্য আটক হয়েছে। গণধোলাইয়ের পর জিনের বাদশার ওই সদস্যকে থানা পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।
জানা গেছে রাত ৩ টার দিকে নিজেকে জিনের বদশা পরিচয় দিয়ে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা নামে এক কৃষককে মোবাইল ফোনে জানায়, তোমার ভাগ্য ভালো,তবে তুমি খুব পাপ করেছ আর এই পাপ থেকে রেহায় পেতে একটা জায়নামাজ কিনে দান করাসহ সিন্নি হিসেবে মিষ্টি খাওয়াতে হবে।এজন্য তোমাকে ১৬ হাজার টাকা তাকে দিতে হবে।ওইদিন সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে থাকা পুরাতন পরিত্যক্ত এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ১৬ হাজার টাকা রাখতে বলেন কথিত জিনের বাদশা দলের এ সদস্য।
জিনের বাদশার দেয়া ফোনের বিষয়টি এলাকার বিভিন্ন লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয় এবং তাকে ধরার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ওতপেত থাকে গোলাম মোস্তফার লোকজন। যথাযথ সময়ে গোলাম মোস্তফা ওই এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে টাকা রেখে চলে আসার কয়েক মিনিট পর গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপগাছী হাতিয়াদহ গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর পুত্র রাসেল মিয়া (২৩) ওই পরিত্যক্ত এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ঢুকে টাকা গুলো নেয়ার সময় ওতপেতে থাকা লোকজন তাকে ধরে বেধরক মারপিট করে এবং এক পর্যায় তাকে তারা মোটরসাইকেল করে তুলে নিয়ে যায় রায়পুর গ্রামে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ রাতেই রায়পুর গ্রামে গেলে রাসেল মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় জানা যায়, এ আগে চলতি মাসের ১ এপ্রিল রাতে অনুরূপভাবে ফোনে জিনের বাদশা পরিচয় দানকারী এক ব্যক্তি, গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন নম্বরে দফায় দফায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৮ টাকা হাতিয়ে নেয় কথিত জিনের বাদশা।
এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে রাসেল মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।মহাদেবপুর সার্কেলের এএসপি জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোজাফফর হোসেন অভিযান চালিয়ে আটককৃত রাসেল মিয়ার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিসার তৈরি সোনালী রঙের ৫৩৪ গ্রাম একটি ৫৪৩ গ্রাম একটি মোট দুটি লক্ষী মুর্তি উদ্ধার করে।একই সঙ্গে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন মানে এজাহার নামীয় এক আসামিকে পুলিশ গত ১৫ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার করে।