রবিউল আলম গাজীপুর (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানাধীন ৪০ নং ওয়ার্ডের মেঘডুবী দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে হিসেবে ছয় নয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মসজিদটি ১৯৭৮ইং সালে থেকে এলাকার লোকজন নিয়ে সমাজ সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল । গত ২০১৯ইং সালে মসজিদ পরিচালনা করার জন্য ২ বছর মেয়াদী পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু মেয়াদ চলে গেলেও জোরপূর্বক পরিচালনা কমিটি বহাল আছেন বলে অভিয়োগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার তারাবির নামাজের পর জমি দাতা মৃত আউয়াল খা’র ছেলে আলহাজ¦ আব্দুল করিম খান ও শরিফ খান মসজিদের সীমানা ও অনিয়মের ব্যাপারে বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক: আকরাম খান এর কাছে অভিযোগটি বলার সময় এক পর্যায়ে মীর আবুল ও সহ সভাপতি আরফান খান রতন তাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরবর্তীতে মীর মোশারফ হোসেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অত্র জামে মসজিদ, মীর মাহবুবুর রহমান মানিক, সহ সভাপতি অত্র জামে মসজিদ সহ অনেকে মসজিদের কোষাধক্ষ্য আলহাজ্ব আবদুল করিম ও তার ছোট ভাই শরিফ খান সহ আরও কয়েক জনের উপর হামলা করে। দোকান ও পকেট থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পূবাইল থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং-১৬, তারিখ-২৯/০৩/২০২৩ইং।
মসজিদের ট্রাকচার বিক্রয় করেন শামসুল হকের কাছে ২,০০,০০০/- দুই লক্ষ টাকা । পরবর্তীতে বিক্রিত ট্রাকচারের টাকার বেপারে খবর নিয়ে জানা যায় মসজিদের ক্যাশে পর্যায়ক্রমে ১,৮৪,৫০০/- টাকা জমা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মসজিদের মাটি বিক্রয় করা হয় হাসেমের কাছে ১,৯১,৫০০/- টাকা। পরে মসজিদের ক্যাশে আরফান খান রতন পর্যায়ক্রমে ১,৭২,০০০/- টাকা জমা করেন। মেঘডুবী এলাকার বাসিন্দা হাসেম মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য ৫,০০০/- টাকা আরফান খান রতনের কাছে প্রদান করেন। পরবর্তীতে খবর নিয়ে যানাযায় এই নামে কোন টাকা জমা হয় নাই। মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য নতুন ইট ক্রয় করতে মীর মাহবুর রহমান মানিক দ্বায়িত্ব নেন। এলাকাবাসির অভিযোগ ১ নম্বর ইটের বদলে ২ নম্বর ইট ক্রয় করে আনেন । এলাকাবাসির ইটের ব্যাপারে সন্দেহ হলে ইট গননা করে ছয় হাজার ইটের জায়গায় পাঁচ হাজার আটশত পাওয়া যায়। এ সব ব্যাপারে অত্র মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাহিদ আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আকরাম মাস্টার এর কাছে জানতে চাইলে বলেন এসব ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে আমরা কিছু জানিনা । অত্র মসজিদের কোষাধক্ষ আলহাজ্ব করিম খান ও সরকারি কোষাধক্ষ্য ইয়ার খান এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন মৌখিক ভাবে মসজিদের টাকার গড়মিলের ব্যপারটি জানতে পেরেছি। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।