যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পালিত হলো “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস। ৭ই মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত মিজ সাদিয়া ফয়জুননেসা কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। খবর বাপসনিঊজ।
দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি সকলের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত এবং সামরিক এটাশে কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২৩ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং দূতাবাসের সামরিক এটাশে কমোডোর সৈয়দ মিসবাহউদ্দিন আহমদ (সি) অংশ নেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বক্তব্যের শুরুতেই আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সেই সাথে স্মরণ করেন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর কালরাতের নির্মম হত্যাকান্ডে শহীদ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যদের। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে সকল দেশ সমর্থন দিয়েছিল রাষ্ট্রদূত তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে ব্রাজিল সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রদূত ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তী নেতা ফিডেল কাস্ত্রোর সাথে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব ও ফিডেল কাস্ত্রো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম তুলনা স্মরণ করে বলেন বিশ্বে যে কয়েকটি ঘটনা পৃথিবীতে গণতন্ত্রকামী মানুষের মুক্তির পথ সুগম করেছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর অন্যতম। ঐতিহাসিক এই ভাষণকে ইউনেস্কো World´s Documentary Heritage -এর Memory of the world International Register -এ অন্তর্ভুক্ত করেছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ক্রমঅগ্রসরমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেন যে সারা বিশ্বে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। রাষ্ট্রদূত বলেন এ সবই আজ সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে যাবার জন্য। তিনি বর্তমান প্রজন্মকে দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জয় বাংলার স্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবি এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।