রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সেখানে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশ যেন ভাই ভাই। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশের সখ্যতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমনই কিছু তথ্য।
অভিযোগ রয়েছে, চারঘাট থানা পুলিশের এএসআই রাজু আহম্মেদ নিজেই ইউসুফপুর ইউনিয়নসহ উপজেলা জুড়ে গড়ে তুলেছেন মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক সিন্ডিকেট। তার মদদে অর্ধশতাধিক চিহ্নিত জায়গায় নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আর এই কাজে এএসআই রাজুর নেতৃত্বে থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যর সমন্বয়ে গঠিত টিম ও কয়েকজন সোর্সের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন পুরো উপজেলার মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের বাজার। মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তার অতিরিক্ত সখ্যতার কারণে হয়রানির শিকারও হচ্ছেন এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই চালাচ্ছে আটক বানিজ্যে। অপরদিকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার নামে নিরীহ লোকজনদের রাস্তায় থামিয়ে হয়রানি করা সহ মাদকের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ। রাস্তায় পুলিশ কর্তৃক হেনস্তার স্বীকার, রাসিক ওয়ার্ড নং ৩০ মতিহার রাজশাহী। বলেন, আমার মামা শশুর ইউসুফ কান্দিপাড়া নিবাসী মো. জুব্বার খলিফা কয়েক দিন পূর্বে ইন্তেকাল করেন, তার জানাজা যাওয়ার পথে চারঘাট থানা পুলিশ বহিরাগতদের এলাকায় প্রবেশ নিষেধ বলে ফিরিয়ে দেন। পুলিশের এমন জঘন্য কর্মকান্ডে আমি মর্মাহত। আমি একজন সরকারী কাজী আমার পথ রোধ করার ক্ষমতা পুলিশ কোথায় পায়??? সেখানে পুলিশের আসল উদ্দেশ্য ছিল মাদক পাচার করা। আর বিজিবির হাতে পুলিশ সদস্য মাদকসহ আটক হওয়ার পর তা প্রকাশ হয়ছে। দেশব্যপী এখন বেড়াই ধান খাচ্ছে।