দিনাজপুরের বিরামপুরে পাকতে শুরু করেছে রোপা আমন ও বোনা আমন ধান। পাকা ধানে সোনালি হয়ে উঠেছে বিস্তৃত মাঠ। কিছু কিছু এলাকায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। তবে কাটা-মাড়াই পুরোপুরি জমে উঠতে আরও কয়েক দিন লাগবে। এ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে খানপুর, মুকুন্দপুর, ভিনাইল ও জোতবানী ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধান কাটার পর একই জমিতে ব্রি-৫৮, ব্রি-৩৪, ব্রি-৩৬ ও পাইজাম জাতের ধান চাষাবাদ করেন কৃষকেরা।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন চলতি বর্ষা মৌসুমে ওই ৮ ইউনিয়নে ১৭০০০হাজার ৪৪১হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আগাম জাতের রোপা আমন ধান পাকতে শুরু করেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় ভালো ফলনের বিষয়ে আশাবাদী চাষিরা।
উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, অনুকূল আবহাওয়া, রোগ বালাই কম, আর সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগে এ বছর রোপা আমন ও বোনা আমন ধানের ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বেপারীটোলা গ্রামের কৃষক হামিদুল, আবু বক্কর, ফিরোজ হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, বোরো ধান কাটার পরই জমিতে রোপা আমন জাতের ধান লাগানো হয়। এ সময় বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ায় এ জাতের ধান চাষে পানি সেচ ততটা দিতে হয় না। সার ও কীটনাশকও লাগে কম। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানে তেমন পোঁকার আক্রমণ হয়নি। কদিন পরই ধান কাটা পুরোপুরি শুরু হবে। বিগত বছরের চেয়ে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা।
এ বছর বন্যার পানি কম হওয়ায় আমন ধান ভালো হয়েছে। ফলনও ভালো হবে। বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হবেন চাষিরা।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে রোপা আমন ও বোনা আমন জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন | তিনি আরো জানান অত্র কৃষি অফিসের বিএস রা বিরামপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক ধানের রোগবালাই উন্নতমানের বীজ ধান ও ঔষধ প্রয়োগ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন |