শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার।
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

“রান্না খাবারও যেন ডাকে পাঠানো যায়”জননেত্রী শেখ হাসিনা-দৈনিক বাংলার অধিকার

এস ডি স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি / ২৩৮ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১, ১১:২৪ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদি মনে করি রান্না করে এখান থেকে কোথাও আত্মীয়কে খাবার পাঠাব, সেটা যেন পাঠাতে পারি। এটার জন্য চিলিং সিস্টেমটা খুব দরকার। সেই ধরনের ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেয়া যাতে করে পণ্য ভালো থাকে।’

ডাক বিভাগের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কার্যকর উদ্যোগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রান্না করা খাবারও যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়, সে ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের বলেছেন তিনি।

গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখন বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সময়ে বেশির ভাগই অনলাইনে সেবা চলছে, ক্রয়-বিক্রয় চলছে। শুধু এসব জিনিস না, পচনশীল জিনিস থেকে শুরু করে ফলমূল, তরিতরকারি যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

‘যেমন: আমি যদি মনে করি আমি রান্না করে এখান থেকে কোথাও খাবার পাঠাব বা কোনো আত্মীয়কে পাঠাব, সেটা যেন পাঠাতে পারি। এটার জন্য চিলিং সিস্টেমটা খুব দরকার। সেই ধরনের ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেয়া যাতে করে পণ্য ভালো থাকে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘প্রত্যেক উপজেলা-ইউনিয়নে এ ব্যবস্থা থাকবে। এখন তো চিলিং পোর্টেবল বক্স পাওয়া যায়। যারা খাবার নিয়ে যাবে তাদের হাতে বক্স থাকলে তারা ঠিকমতো পৌঁছে দিতে পারবে। এভাবেই কিন্তু ডাকের সেবাটাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’

ডাক বিভাগকে অনলাইন উপযোগী করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় বাড়ছে। ডাক বিভাগ পিছিয়ে থাকলে তো হবে না। এটা ডাক বিভাগের জন্য একটা বড় ব্যবসা হবে।

‘সেই সাথে ডাকের সিস্টেম ডিজিটালাইজড শুধু না, আরও মানুষ যাতে সেবা নিতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা ১১৮টি মেইল গাড়ি সংযোজন করেছি। তা ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য নারী-পুরুষকে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যেগুলো পচনশীল পণ্য, সেগুলো পরিবহনে এরই মধ্যে ট্রেনে কুলিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সে ধরনের গাড়ি কিনে এই ডাকের মাধ্যমে মানুষ যেন তাদের সেবা পায় এ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।’

চিলিং গাড়ির পাশাপাশি ডাকঘরগুলোতে চিলিং চেম্বার তৈরির তাগিদও দেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘এর জন্য শুধু গাড়ি কিনলে হবে না, এখানে চেম্বার দরকার। এ জন্য ডাকঘরগুলোতে চিলিং চেম্বার যাতে তৈরি হয় তার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রথমে আমরা জেলা ও বিভাগীয় শহরে করে দিচ্ছি।

‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে পরবর্তীতে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত। অর্থাৎ ডাকঘর যেখানে যেখানে আছে, সেখানে এ ধরনের ব্যবস্থা থাকতে পারে।’

নিজের বক্তব্যে ডাক বিভাগের উন্নয়নে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় যখন সরকার গঠন করি, তখন আমরা ডাক বিভাগের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। ১৮৯৮ সালে আইন করা ছিল। এই আইনটিকে আমরা আধুনিক করার কাজ হাতে নিই। আমরা ডাকঘর আইনকে হালনাগাদ করে ডাকঘর সংশোধন আইন-২০১০ প্রণয়ন করি।’

এ আইনের মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহার ও ব্যাংকিং-জীবনবিমা সুবিধা দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সেবা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সে ব্যবস্থাও আমরা নিই এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা অন্তর্ভুক্ত করি।

‘প্রত্যেকটি ডাকঘরকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তরের নির্দেশনা আমরা দিই। এ ছাড়া ডাক সঞ্চয় ব্যাংক, ডাক জীবনবিমা, বিভিন্ন রাজস্ব স্ট্যাম্পসহ বহু সেবা প্রদান করে আমাদের ডাক বিভাগ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পোস্ট ই-সেবার আওতায় দেশের প্রায় আট হাজার ৫০০টি পোস্ট অফিস ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। আপনারা জানেন এর আগে আমরা সারা দেশে প্রায় পাঁচ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছিলাম। আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জায়গায় এটা গড়ে তুলব। ডাকঘরের সেবা আমরা আরও বাড়াতে চাই।

‘ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের ফলে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ অনেক ধরনের সেবা পাচ্ছে। এখন ডাকঘর থেকে জনগণ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবে।’


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!