গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী (ফেনী) থেকে:- সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ভোরবাজারে, ৮ই জুন সোমবার, রাত সাড়ে নয়টায়- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিনের নেতৃত্বে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলায় স্থানীয় সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্দর মার্কেট যুবসংঘের সভাপতি মহিম সহ ৬জন আহত হয়। এই হামলার জন্য মহিউদ্দিন মহিম বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক রুবেল সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে সোনাগাজী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করে। বাদীর মৌখিক অভিযোগ ও এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, বিবাদী রবিনের সাথে পূর্ব শত্রুতার কারণে একাধিকার কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার দিন বাদী মহিম সাক্ষীগণ সহ সফরপুর গ্রামে তার নানা নানীর কবর জেয়ারত করে ফেরার সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ভোরবাজার হাইস্কুল সংলগ্ন স্থানে আসিলে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিনের নেতৃত্বে ১০/১২জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে মহিম ও তার সঙ্গীদের উপর হামলা করে। এতে বন্দর মার্কেট যুবসংঘের সভাপতি ও নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের পূত্র মহিউদ্দিন মহিম সহ তার সঙ্গীরা আহত হয়। মহিম জানায়- তাদের শৌর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয় এলে হামলাকারী রবিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহতদের সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ইউপি নির্বাচনকে টার্গেট করে চতুর্মুখী হামলা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের পূত্র ঢাকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্দর মার্কেট যুবসংঘের সভাপতি মহিউদ্দিন মহিম। মাহমুদুল হক কাওসার নির্জন জানায়- বন্দর মার্কেট যুবসংঘের ব্যানারে সামাজিক কর্মসূচি পরিচালনা করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করায় কিছু ব্যক্তির রোষানলে পড়ে আমার ভাই মহিউদ্দিন মহিম। আমরা কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ইস্রাফিল ভূঞা রাজু জানায়- করোনার এই দুর্যোগে বন্দর মার্কেট যুবসংঘের আয়োজনে জনসচেতনতা মুলক কর্মসূচি ও ত্রাণ বিতরণ, মাস্ক হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার বিতরণ সহ নানান কর্মসূচি পরিচালনা করায় এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয় চেয়ারম্যান পূত্র মহিউদ্দিন মহিম। হয়তো তার এই জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষরা তার উপর হামলা করতে পারে। এহেন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলার প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও যুবলীগ নেতা রুবেলের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে এবং ঘটনার জন্য মহিউদ্দিন মহিমকে দায়ী করে তার বিচার দাবি করেন।