বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবীর ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি.বাংলাদেশ বিমান,বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগণ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ,সমগ্র বাঙালি জাতিকে যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্ম করেছিল, বিশ্ব ইতিহাসে একান্তই বিরল।
সেজন্যই ইউনেস্কো ভাষণটিকে মানবজাতির একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
৭ই মার্চের ভাষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং ঐক্য ও সংকল্পের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর, মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ অতঃপর শ্রদ্ধাবেদীতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। পরবর্তীতে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশ এম্বেসী আবুধাবীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অন্যসব ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনন্য। এটি কোনো পূর্বলিখিত ভাষণ ছিল না।
এটি ছিল ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর হৃদয় উৎসারিত তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। এতে একদিকে রয়েছে আমাদের সূদীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস, আর অন্যদিকে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা।
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের সফল পরিণতি হচ্ছে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ -এর ভাষণ” এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।