২০৩৭ সালে বিশ্বে ২০তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় (ডব্লিউইএলটি) দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী ১৯২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে।
আর আগামী ২০৩৭ সালের মধ্যে ডব্লিউইএলটি তালিকায় আরও ১৪ ধাপ এগিয়ে বিশ্বের ২০তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
সিইবিআর এক প্রতিবেদনে বলেছে, অভ্যন্তরীণ উন্নতির পাশাপাশি আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। চলতি বছর শেষেও এই অবস্থান ধরে রেখেছে দেশটি।
বর্তমানে দেশের জিডিপির আকার হিসাব করা হয়েছে ৪২ হাজার ৯০০ কোটি (৪২৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। সিইবিআর বলছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে জিডিপির আকার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২০২১ সালে ডব্লিউইএলটি তালিকায় বাংলাদেশ ৩৬তম অবস্থানে ছিল। আগামী বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই অবস্থানের উন্নতি হবে। এতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ৩৫তম, ২০২৭ সালে ২৬তম, ২০৩২ সালে ২৪তম ও ২০৩৭ সালে ২০তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে পারে।
তবে অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছর অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাসও দিয়েছে সিইবিআর। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, দেশগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বেশি পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। তবে এর কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে অনেক দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হতে পারে।
চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতি ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। আর সবকিছু মিলিয়ে আগামী ২০৩৭ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ২০৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে ভারত তার অবস্থান ধরে রেখেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ২০৩২ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে। আর ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশটির জিডিপির পরিমাণ হবে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান বিশ্বের ৪৩তম, শ্রীলঙ্কা ৭৫তম, নেপাল ১০১তম, মালদ্বীপ ১৫২তম ও ভুটান ১৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। আর বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে প্রথমে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আছে চীন ও জাপানের অবস্থান