রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ঐতিহ্য হারাচ্ছে নবীনগর সরকারি কলেজ। সাংবাদিক খালেদ পেলেন শেরেবাংলা পদক ভুয়া কাগজ দিয়ে প্রবাসীর দোকান ঘর দখল নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ গাজীপুরে দুদিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা শুরু নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য-নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা কিশোরগঞ্জে কৃষি উদ্যোক্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার আলোকবর্তিতা খাতুনে জান্নাত কওমী মাদ্রাসা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪ সীতাকুণ্ডে ক্ষতিকর কেমিক্যালে তৈরী হতো আইসক্রিম, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা রংপুর শ্যামাসুন্দরী খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নকরণ কার্যক্রম শুরু কুড়িগ্রামের শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর, আহত -৩ প্রকাশ পেল ‘প্রেম শিকলে বাইন্ধা রে মন’ জাস মান্নাত এবার মিউজিক্যাল ফিল্মে তানিনের ‘ব্যাড গার্লস’
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

নান্দাইলে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা-দৈনিক বাংলার অধিকার

ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ / ২৬০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ১ মে, ২০২২, ১:৩৬ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামে অবসর প্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজী মোঃ আবদুল কদ্দুসের উপর পবিত্র শবে কদরের রাতে বিয়ারা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে হামালা জানা যায় একই গ্রামের মৃত বাবর আলীর তিন পুত্র যথাক্রমে আবদুল হাই, আব্দুল আলী, কালা মিয়া ও কেনু মিয়ার কর্তৃক প্রকাশ্যে মসজিদের মুসুল্লীদের সামনে হামলা করে।

এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানাগেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আবদুল কদ্দুস বিয়ারা জামে মসজিদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছেন। শবে কদরের রাতে হাফেজদের জন্য আদায়কৃত টাকা তিনি হাফেজদের মাঝে বন্টন করে দিতে চান। এতে করে এই মসজিদের সেক্রেটারী মোঃ আবদুল হাই আদায়কৃত টাকা হাফেজদের অর্ধেক দিয়ে বাকী অর্ধেক টাকা রেখে দেবার চেষ্ঠা করলে মুক্তিযোদ্ধা এতে মত দেয়নি। একে করে আবদুল হাই ও তার ভাই আবদুল আলী মুসুল্লীদের সামনে বীরমুক্তিযোদ্ধাকে কিল ঘুষি মেরে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং কেনু মিয়া প্রকাশ্যে গালাগালি করে। উল্লেখ্য, রিয়ারা গ্রামের বেপারী বাড়ির এই পরিবারটি এলাকায় সন্ত্রাসী পরিবার ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। আবদুল আলীর এক পুত্র মোঃ রুবেল ইয়াবার চালান সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছে। তার নামে ৭/৮টি মামলা চলমান রয়েছে। বিয়ারা গ্রামের হাবিবুর রহমান, দুলাল মাস্টার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্ঠা সহ বেপারী বাড়ির লোকজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে গ্রাম ছাড়া করার হুমকী প্রদান করেছে। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শনিবার নান্দাইল রোড বাজার এলাকা থেকে নেতৃবৃন্দ বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর কদ্দুসের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা অবহিত হয়ে আসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নান্দাইল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল জানান, তিনি ঘটনা শুনে শনিবার রাতে এলাকার ১০/১৫জন নেতৃবৃন্দ সহ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রকাশ্যে বিচার দাবী করেছেন। নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ে অবঃ প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল কাইয়ুম বাবুল, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ঘটনা শুনে শনিবার রাতে বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যান এবং বীরমুক্তিযোদ্ধার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। উল্লেখ্য, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজাী মোঃ আবদুল কদ্দুস এলাকায় একজন শান্ত প্রিয় ও নীরিহ মানুষ হিসাবে পরিচিত। তার ২পুত্র সরকারী চাকুরী সূত্রে বাড়িতে না থাকায় এই নীরিহ পরিবারটির উপর ইতি পূর্বেও আরও কয়েকবার হামলা ও হুমকী প্রদান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আবুল হাসান জানান, তার পরিবার এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত ও ক্ষদ্দ। তিনি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!