বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর সভার মেয়র মুক্তার আলীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র ,গুলি ও নগদ টাকাসহ মেয়র পত্নী ও তার দুই ভাতিজাকে আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে,মারপিটের অভিযোগ এনে ,রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে স্থানীয় দুইজন দোকানদারের থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে পুলিশ ৬ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে মেয়রকে আটকের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালায় বাঘা থানা পুলিশ।
এসময় তাকে খোঁজার জন্য ঘরে তল্লাশির সময়, ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, ৪ টি অগ্নেঅস্ত্র, এর মধ্যে ১ টি বিদেশী পিস্তাল, ৪৩ রাউন্ড গুলি, (এর মধ্যে ব্যবহৃত ৪ টি) ২০ পিস ইয়াবা, ২০০ গ্রাম গাঁজা, ১০ গ্রাম হেরোইন ,, দুটি চেক- (একটি দেড় লাখ ও অপরটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকাপায় পুলিশ।
এর পর বাড়িতে থাকা মেয়রের স্ত্রী জেসমিন আকতার এবং দুই ভাতিজা শান্ত ইসলাম ও সোহান আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) রুবেল আহমেদ জানান, ৬ জুলাই দিবাগত রাত ৯ টার দিকে পৌর মেয়র মুক্তার আলী আড়ানী বাজারের পল্লী চিকিৎসক জানারুল ইসলামের দোকানে প্রবেশ করে তাকে প্রথমে মারপিট করেন। এরপর মেয়রের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসীরা ওই বাজারের আরেক পল্লী চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম, তার স্ত্রী দিলরুবা এবং ৭ বছরের শিশু সন্তান অয়ন কে মারপিট করে। এ ঘটনায় আহত মনোয়ারুল ইসলামকে রাতেই বাঘা থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এরপর রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে পুলিশ মেয়র মুক্তার আলীর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার স্বয়ং কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, নগদ ৯৪ লাখ টাকা এবং চারটি অস্ত্রসহ মেয়রের স্ত্রী এবং দুই ভাতিজাকে আটক করে পুলিশ।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওসি নজরুল ইসলামজানান, একটি মামলা দায়ের করেছেন- পল্লী চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম। অপর দুটি পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে।
পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আটককৃত মেয়রের স্ত্রী জেসিমিন ও দুই ভাতিজাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মুক্তার আলীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।