সুভাস দাস ( পটুয়াখালী )জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপার রতনদী-তালতলী ইউপির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিত্য হরি দেবনাথ এর বিরুদ্ধে ওজন কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরোজমিনে ঘুরে ও সুত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল রবিবার ২০২৩ ইং তারিখ সকাল থেকে বিকাল প্রর্যন্ত ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে ও এ ইউপির ১ ও ৩ নং ওয়াডের ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে ৪৯৭ জন সুবিধা ভুগিদের মাঝে উক্ত ডিলার চাল বিতরন করেন।
কিন্তুু এ সময় তিনি মাথা পিছু ৩০ কেজির প্যাকেটজাত চালের বস্তার পরিবর্তে খোলা চাল ২৮ কেজি করে প্রত্যেকের মাঝে বিতরন করেন।
সরজমিনে উপস্থিত হয়ে এ বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উক্ত ডিলার কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সংবাদ কর্মীদের উপর উত্তেজিত হয় এবং বলে আপনারা আমার যা করতে পারেন করেন। তিনি আর ও বলেন,খাদ্য গোডাউন থেকে আমাকে ৪৭-৪৮ কেজির চালের বস্তা ৫০ কেজি ধরে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এ ডিলার কম হলেও ৪৯৭ কেজি চাল কম দিয়েছেন। তাতে তিনি ৪০ টাকা দরে উক্ত চাল কালোবাজারে বিক্রি করলেও ১৯৮৮০ টাকা অবৈধ ভাবে পকেটে ভরেছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে , উলানিয়া হাটমাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও ট্যাগ অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি পটুয়াখালীতে আছি, ডিলার সকাল থেকে চাল দিতেছে, আমি বিকালে আসবো এই বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
রতন দি তালতলী ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তার ব্যবহারিত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এজন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উক্ত ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মাছুম এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,তার উপস্হিতে প্রত্যএকে ২৯কেজি৫০০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হয় এ কথা বলে সে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।রতনদি তালতলী ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রতন দি তালতলী ইউপির চেয়ারম্যান এর ছেলে মোঃ শাকিল খান এর মুঠোফোনে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানান। গলাচিপা খাদ্য গোডাউনের ওসিলিডি আল মামুন এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয় কথা বলতে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও প্রতিবারই তার ফোন কল ব্যস্ত পাওয়া যায়। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি