বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস এবং বাংলাদেশের মহান বিজয়-এর গৌরবোজ্জ্বল ৫১ বছরপূর্তি পালিত।
ভিডিও ফুটেজ।
বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ জনতা ব্যাংক লি., বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সূচনাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর, মান্যবর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের পক্ষ হতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অতঃপর, উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তিবর্গ তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরবর্তীতে, পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নিরবতা শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ। এরপর, মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রনায়ক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
ভিডিও ফুটেজ।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে, উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সামগ্রিক আলোচনা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, জনগণের জীবন মান বৃদ্ধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে সমগ্র বিশ্বে আমাদের অবস্থান আজ অত্যন্ত সম্মানের আসনে। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়, বিশ্বমানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নীতি এবং আদর্শের উপর অবিচল থেকে সকল বাধা বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন। আজ, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিপুল অগ্রগতি অর্জন করেছে। জাতির পিতা তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের দিয়ে গেছেন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তাঁরই ধারাবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামগ্রিক অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির পথে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশীগণ তাদের অর্জিতজ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এরপর, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, আবুধাবির শিল্পীরা।
www.dainikbanglarodhikar.com
ভিজিট করুন /সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দেখতে দৈনিক বাংলার অধিকারী ক্লিক করুন।
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ এর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
