মায়েদের হাতে যাওয়া অর্থের অপচয় হয়না বলে মনে করেন শেখ হাসিনা——মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন মায়েদের হাতে যাওয়া অর্থের অপচয় হয়না বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তাই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মায়ের আসনে বসে প্রান্তিক নারীদের সাবলম্বী করতে নানা কর্মসূচী শুরু করেছেন। একই সঙ্গে সকল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্যও পর্যায়ক্রমে তিনি দেশব্যাপী নানা কর্মসূচীর ব্যবস্থা করেছেন। এক্ষেত্রে উপবৃত্তি, বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, শিক্ষাভাতা, মাতৃকালীনভাতা ও মুক্তিযোদ্ধাভাতা বৃদ্ধি করেছেন শেখ হাসিনা। আমাদের মায়েরা উপবৃত্তির টাকা পেয়ে স্বামীকে না জানিয়ে হলেও সন্তানের শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বুধবার দুপুরে ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানীমহল অডিটোরিয়ামে ডিএসসিসির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এল আই ইউ পি সি) প্রকল্পের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসির ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রান্তিক যে জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের সাবলম্বী ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রধান মন্ত্রী মা ও নারীদের জন্য এ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন। এখানে শিক্ষা অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা বিভিন্ন ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন। তার মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্যও তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতাভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থায় অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। আর ঢাকাবাসীদের জন্য এই একটাই প্রকল্প রয়েছে। তাই তদন্ত করে ঢাকার বাইরের অসাধু অর্থভোগীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এ প্রকল্প থেকে। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এ প্রকল্পের একটি টাকাও যাতে নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনুদান যারা প্রাপ্য তারা একজনও বাদ পড়বেন না। জনগনের অর্থ নিয়ে কেউ দুর্নীতি ও অনিয়ম করতে পারবেন না। আর শেখ হাসিনার উন্নয়ন উপকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের চরাঞ্চলেও এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। এদিকে ডিএসসিসির সঙ্গে যুক্ত হওয়া ১৮ টি নতুন ওয়ার্ডের জন্য মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। আর এসব ওয়ার্ডে মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধারা একটা সময় মাথা নিচু করে রাখতেন কিন্তু শেখ হাসিনা বাংলাদেশে তাদের মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য সম্মান দিয়েছেন। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন যা অব্যাহত থাকবেই।
ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনের সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইবরাহীম, সংরক্ষিত আসনের (৬৭,৬৮ ও ৬৯) নারী কাউন্সিলর মাহফুজা আক্তার হিমেল, ডিএসসিসির (এল আই ইউ পি সি) নগর ব্যবস্থাপক ড. সোহেল ইকবাল।
এদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, বৃটিশ সরকার ও জাতীসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (ইউএনডিপি) অর্থায়নে দুস্থ নারীদের সাবলম্বী করতে ডিএসসিসির ৬৭,৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮০ জন প্রান্তিক নারীদের ১০ হাজার টাকা করে মোট ১৮ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ফুচকা-চটপটি, চা, কাপড়, সবজি, ফল, দুধ, মাস্ক উৎপাদন ও বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রকার খাবারের ব্যবসা ক্ষুদ্র পরিসরে করার জন্য এ অনুদান দেওয়া হয়। এদিকে অনুদান পেয়ে প্রান্তিক নারীরা শেখ হাসিনা ও মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এল আই ইউ পি সি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।