সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বাদ আসর ডগাইর দারুসসুন্নাত মাদরাসার অডিটরিয়ামে কেক কেটে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৬৬ নং ওয়ার্ড ডগাইর উত্তর ইউনিটের সভাপতি মাহবুব আলম ফয়সালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় উক্ত দোয়া ও মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ ,প্রধান আলোচক ছিলেন, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ডগাইর উত্তর ইউনিটের সভাপতি শাহীন মুন্সি,বামৈল উত্তরের সভাপতি নাসির উদ্দিন,দক্ষিণের সভাপতি জালাল উদ্দীন, মহাকাশের সভাপতি আবুল হোসেন, ডগাইর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন,বামৈল দক্ষিণের সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মৃধা মাসুদ ,রুস্তম আলীর সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন,মহাকাশ ইউনিটের সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিন আজ।পাকিস্তানি শাসক চক্রের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছেন। ১৯৫২, ’৫৪, ’৬২, ’৬৬ এর আন্দোলন আর ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ’৭০-এর নির্বাচনে বিজয় সবই জাতির সংগ্রামী ইতিহাসের একেকটি মাইলফলক।আর এই সংগ্রামের নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ’৬৯ এর গণঅভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তির পর তিনি বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন।বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি অর্থাৎ দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু।স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের এই মহান স্থপতিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় মানবতার শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী, দেশি-বিদেশি ঘাতকের চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।তিনি ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রধান অতিথির রফিকুল ইসলাম বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর স্বাধীনতার বীর।বাঙালি জাতির স্থপতি ও স্বাধীনতার যুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকার কারনে আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেব বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আজকের এই বাংলাদেশ। প্রগতিবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু অকুতোভয় সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালির জাতি এদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্ঠি, সভ্যতা ও ঐতিহ্য নিয়ে যখন বাংলাদেশকে পুণগঠনে মনোনিবেশ করছিলেন তখনই এদেশের বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারবর্গের সদস্যগণকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুসহ সকল হত্যাকারীদের বিচার করাসহ এদেশ থেকে সকল অপশক্তি এবং উগ্রবাদীয় গোষ্ঠীদের আইনের মাধ্যমে দমন করে একটি সুন্দর ও সুশৃক্ষল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।