উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে বিদ্যুতে অভ্যস্ত মানুষ দেখল ঘণ্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন এক ভুতুড়ে কুড়িগ্রাম। ৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেলা সদরসহ এর বিভিন্ন উপজেলার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ওয়েল্ডিং, ঝালাই সহ বিদ্যুৎ চালিত মোটর, মেকানিক এর যন্ত্রপাতি সব যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করে। কারণ বিদ্যুৎ এ অভ্যস্ত মানুষ এখন আর কেরোসিনের বাতি বা মোমবাতি ব্যবহার করেন না। ফলে জেলাসদর সহ কয়েকটি উপজেলার কয়েক লাখ লোক সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
বিষয়টির সত্যতা জানতে কয়েকটি ওয়েল্ডিং এর দোকানে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান যে, দুপুরের পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। দিনের আলোতে সাধারণ মানুষ কাজকর্ম করলেও রাতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে মহাসংকটে।
কুড়িগ্রাম পৌরশহরের ব্যবসায়ী মাঈদুল ইসলাম বলেন, আনুমানিক ২-৩ ঘন্টা থেকে বিদ্যুৎ নাই। কাজ করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। লোডশেডিং হলে তো বিদ্যুৎ বিভাগ মাইকিং করে। তবে আজ প্রচারণা ছাড়াই ২-৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে কোন কাজ করতে পারছি না।
শহরের আরেক ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, সেই বিকেল থেকে বিদ্যুৎ নাই। কম্পিউটারে কোন কাজ করতে পারছি না। অনেক কাস্টমার এসে ঘুরে গেল।
দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী, উলিপুর, ফুলবাড়ী সহ অন্যান্য উপজেলার প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোঃ মহিতুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামের টগরাই হাট এলাকার যে আমাদের গ্রিড রয়েছে সেখানে সমস্যা হয়েছে, বিদ্যুৎ ইন করতে পারছে না। একারণেই মুলত লোডশেডিং। কাজ চলমান রয়েছে দ্রুত সমাধান হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ কাওছার আলী “দেশের কন্ঠ” কে জানান, সারাদিন নয় বিকেল ৪.৩২ মিনিট থেকে শুধু একটি উপজেলায় নয় গোটা কুড়িগ্রামেই বিদ্যুৎ নেই, কারণ হচ্ছে পিজেসিভি, ন্যাশনাল গ্রিডের ১৩২ কেভি সাইটের পিকি পুড়ে গেছে, এটা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা হবে তবে এর কাজ চলছে। সন্ধ্যা সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারেই রয়েছে কুড়িগ্রাম।