ফেনীর ছাগলনাইয়া ঘোপাল ইউপিস্থ মুহুরিগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মোস্তাফা’র বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ বেলায়েত হোসেন বেলাল (৪২) বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র সুত্রে জানাযায়, ঘোপাল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সুলতান চেয়ারম্যান বাড়ীর মৃত সফি উল্যাহ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মোস্তাফা (৬৫), মৃত আহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৬০) ও মোঃ শাহাজাহান, মৃত আবু আহাম্মদের ছেলে মশিউল আলম মাসুদ (৩২) এবং মোঃ মোস্তফা ছেলে রাসেল (৩৮) একত্রিত হয়ে মুহুরিগন্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গেইট প্রাঙ্গনে বিদ্যালয়ের যে সম্পত্তি রয়েছে তা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবাদীগনের সাথে যোগাযোগ করে মৌখিকভাবে অনেক বাঁধা দিলেও তা আমলে নেন নাই মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মোস্তফা সহ অনন্যারা। তাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। বিবাদীগন প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে ও মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে বৃহস্পতিবার ( ৮ জুলাই) সকাল ১০ টায় দখলের উদ্দেশ্য দোকান নির্মান কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনার স্থলে যাওয়ার পর উপস্থিত বিবাদীগন পালিয়ে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কাজ করতে বাঁধা দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঐসময় বিবাদীদের এমন আচার-আচরণ দেখে স্কুল শিক্ষক সহ গন্যমান্য বক্তিবর্গ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিযোগ পত্র সুত্রে আরো জানা যায়, অভিযোগ কারী ও সাক্ষীগন অনেকটা নিরাপত্তা হীনতা ভুগছে। বিবাদীপক্ষ ভূমি দখলের বিষয় কেউ বাড়াবাড়ি করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জানাযায়।
এইবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাজহারুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এটি স্কুলের সম্পত্তি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। তারাপরও তারা দখলের চেষ্টা করছে। কাজ করতে বাঁধা দিলে তা তোয়াক্কা না করে কাজ শুরু করেন।
বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি সভাপতি ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া তাহের বলেন, আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে, কাগজপত্র দেখে পরে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বিবাদীদের কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে বিবাদী মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ মোস্তফা জানান, মুহুরিগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি দৌলতপুর ছয়ঘরিয়া সৈয়দুর রহমানের ছেলে সালেহ আহম্মদ এর কাছ থেকে ২০১৭ সালে খরিদ করেছি। জমির পরিমান উত্তর দক্ষিণ ২০ ফুট এবং পূর্ব পশ্চিম ১৯ ফুট। পাশাপাশি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। যাহা এখনো রক্ষিত আছে। আমার বিরুদ্ধে দখলের যে অভিযোগ আনয়ন করেছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।