শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কচুয়ার নূরুল আমিন চাঁদপুর জেলার  শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দাকোপে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান কল্যান ফ্রন্ট খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে শারদীয়া দুর্গ পুজো উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা মিরসরাইয়ে ইসলামী পাঠাগারের উদ্বোধন ও কর্মী সম্মেলন নান্দাইলে মামুনুল হকের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত শহিদ লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বকশীগঞ্জের মুনীরা বেগম জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত বিএনপি হলো ভালো মানুষের দল: খোরশেদ আলম কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় বিএনপি ২৫০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে রুমিন ফারহানা পাঁচবিবিতে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনায় পাথরের আঘাত খেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত মিরসরাইয়ে ৭নং কাটাছরা ইউনিয়ন বিএনপির আলোচনা ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা চিকিৎসা সহায়তার মানবিক আবেদন মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে পাঁচবিবিতে বিক্ষোভ মিছিল
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব বদরুল ইসলাম বাদল খান আর নেই – দৈনিক বাংলার অধিকার

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, মিশুক চন্দ্র ভুইয়া। / ২২৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১, ৯:১৯ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা থানাধীন ৬নং ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব বদরুল ইসলাম বাদল খান আজকের ৪.২০ মিনিটের সময় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । দক্ষ এ সংগঠনের এবং চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম বাদল খান গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম হয় এ দলটির। এরপর জাতি গঠনের প্রতিটি সোপানে-স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার সময়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নাম ধারণ করলেও ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণ অভ্যূখান,দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭২ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কটিয়াদি উপ-জেলা শাখার পক্ষ থেকে কটিয়াদি উপজেলা আওয়ামী লীগনেতা ও আশির দশকের কটিয়াদি সরকারী কলেজ ছাএ সংসদের ভিপি আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানান মুজিবিয় শুভেচ্ছা ও সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। ১৯৪৭ সালে সম্পূর্ণ পৃথক দুটি ভূখণ্ড, স্বতন্ত্র ভাষা ও সংস্কৃতির অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪ মাস ২০ দিনের মধ্যে তখনকার তরুণ যুবনেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেন সরকার বিরোধী ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় পরের বছর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগে কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমানকে (কারাবন্দি ছিলেন) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় আওয়ামী (মুসলিম) লীগের প্রথম কমিটি। ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করে। দলের নাম করণ হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।’ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাংলার জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে স্বাধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। সেই ৬ দফা আন্দোলনের পথ বেয়েই ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনে বাঙালির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ও ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়ক ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৬ বছরের পথপরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটেই পড়ে আওয়ামী লীগ। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙন। এরমধ্যে আব্দুল মালেক উকিল-জোহরা তাজউদ্দীনের দৃঢ়তায় সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দলটি। ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন বর্তমান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এক দশক ধরে সারা দেশ ঘুরে দলকে সংগঠিত করেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী তীব্র গণআন্দোলনও হয় তার নেতৃত্বে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ ১৯৮৬এ।২০০৮ সালের নির্বাচনে ২য় বার বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করে দলটি। তখন থেকে টানা তিন মেয়াদে সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ১৯৫৪ সালে (যুক্তফ্রন্ট), ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে, ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটে। এরপর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসেন। তারই নেতৃত্বে চার দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায়। এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী হওয়ায় দিবসটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলটির প্রত্যাশা ছিল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার; কিন্তু এ বছর মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সাজসজ্জা ও অন্যান্য কর্মসূচির খরচ বাঁচিয়ে তা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দেশবাসীকে ঐতিহাসিক ২৩ জুনে সীমিত পরিসরে যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী দেশমাতৃকার সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!