এ ব্যাপারে সীমার মা বিলকিছ আক্তার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার নং-১৮।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাছির উদ্দিন ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী খালেদা বেগম (৩০) তারা দুজন পরকীয়া প্রেমের আসক্তিতে জড়িয়ে আছে,এসময় সীমা দেখতে পেয়ে এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারধর, করে অবশেষে তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে গলায় রশি বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
সীমার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মামলার বাদিনীর ছোট ভাই সফিক ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখতে পায় ভাগ্নীর হাটু বাঁকা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ পড়ে আছে।
সফিক এ অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সীমার মৃতদেহ উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ, প্রায় ২ বছর পূর্বে নাছির উদ্দিনের সাথে সীমার বিবাহ হয়। এর আগেও নাছির উদ্দিন আরেকটি বিয়ে করেছিলো। সীমার সাথে বিয়ের পর নাছির উদ্দিন ওই বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো। সীমা দফায় দফায় প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করে আসছিলো। পুলিশ নাছির উদ্দিন ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী খালেদা বেগমকে গ্রেফতার করে চাঁদপুর কোর্টে প্রেরন করে।
কচুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, মামলার আসামি হিসেবে সীমা আক্তারের স্বামী নাছির উদ্দিন ও তার বড় ভাবি খালেদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে কোর্টের মধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো করা হয়েছে।