আকাশ সরকার,রাজশাহী ব্যুরোঃ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ৭৮ দিন পর ১৫ মে রাজশাহী মহানগরীতেও প্রথম একজন নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে তার স্বামী এবং মেয়েরও করোনা শনাক্ত হয়। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) তাদের প্রত্যেকের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এই পরিবারটির বাড়ি রাজশাহী নগরীর উপর ভদ্রা এলাকায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) তিনজনেরই আবারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে সবার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। আমরা আরেকবার সবার নমুনা পরীক্ষা করব। তখন রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাদের সুস্থ বলে ঘোষণা দেব। আক্রান্ত ওই নারী একজন গৃহিনী। তার ছোট ছেলে নরসিংদীতে থাকেন। এইচএসসির পরীক্ষার্থী। তাই দুই মাস আগে ছেলের কাছে গিয়েছিলেন ওই নারী। সঙ্গে বড় ছেলে এবং পূত্রবধূও ছিলেন। তারা সেখানেই আটকা পড়েন লকডাউনে। গত ১০ মে তারা রাজশাহী আসেন। পথে পথে পড়েন পুলিশের বাঁধার মুখে। তবে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজশাহী ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তারপর রাজশাহী ফিরেই ওই নারী থানায় ফোন করে করণীয় জানতে চেয়েছিলেন। পুলিশ তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলে। আর যেহেতু তারা বাইরে থেকে এসেছেন তাই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৫ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ওই নারীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। আর তার ছেলে এবং পূত্রবধূর রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।এরপর বাড়িটি লকডাউন করে দেয়া হয়। এরপর ২০ মে ওই নারী স্বামী এবং মেয়ের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তাদের দুজনেরই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের তিনজনেরই রিপোর্ট এলো নেগেটিভ। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষা না করা পর্যন্ত তাদের করোনামুক্ত বলা যাচ্ছে না।রাজশাহী জেলায় এ পর্যন্ত ৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। রাজশাহী মহানগরীতে একই পরিবারের এই তিনজনসহ শনাক্ত হয়েছেন মোট ১০ জন। জেলার গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলা এখনও করোনামুক্ত।