নিউজ ডেক্সঃমাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে তিন নারীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে এসেছিল এক ভারতীয় দম্পতি। এরপর তাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। ভারতীয় দম্পতির একটি নাইটক্লাব রয়েছে সিঙ্গাপুরে, যেখানে প্রতিদিন বিনা পারিশ্রমিকে নাচতে বাধ্য করা হতো এই নারীদের। তাদের মধ্যে একজনকে জোর করে দেহ ব্যবসাতেও নামানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ওই ভারতীয় দম্পতির রায় ঘোষণা করা হবে। এতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও বেত্রাঘাতের সাজা হতে পারে।
২০১৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে মানবপাচার আইন কার্যকর হয়। এরপর প্রথম যে ঘটনাটি সামনে এসেছে, তাতে উঠে এসেছে তিন বাংলাদেশি নারীর কথা। নতুন মানবপাচার আইনের আওতায় এটিই প্রথম মামলা।

মানবপাচার বিরোধী সংগঠনগুলোর মতে, এই দৃষ্টান্তমূলক সাজার ফলে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে৷ মানবপাচার বিরোধী সংগঠন হাগার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মাইকেল চিয়াম সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘চাকরিদাতাদের কখনোই ভাবা উচিত নয় যে মানবপাচার ও এমন অপরাধ করে তারা আইনকে ফাঁকি দিতে পারবে।’
একই আইনের আওতায় আরও দুটি মামলা বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে ৫৬ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ লাখ বাংলাদেশি, চীনা ও বার্মিজ অভিবাসী শ্রমিক।