সাভারের আশুলিয়ায় পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের বাধার মুখে তা নেভাতে পারছেন না ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগা কারখানাগুলো হলো- জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা।
সাধারণ জনগণের মুখে বন্ধ হ’য়ে গেছে,তারা বুঝতে পারেনি এমন ঘটনা ঘটেবে বাংলাদেশ। সাপোর্ট করে পিছিয়ে যেতে পারছেনা। তাহলে কি হবে এই দেশে?
পোশাক কারখানার মালিকরা সমর্থন করেছে কিন্তু, হলে কি? এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় এখনো আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে।
জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আবু সায়েম মাসুম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট হামিমের গোডাউনে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বাইপাইল মোড়ে আরএস টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানতে পেরেছি।
ডিপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুবায়েদ বলেন, জিরানী এলাকার সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ডরেন ও জিরাবো এলাকায় হামিম গার্মেন্টসের গোডাউনে অগ্নি সংযোগের খবর এসেছে। আমরা সিনহা টেক্সটাইলে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারীরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমাদের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্যকে মারধর করেছে তারা। পুলিশের নিরাপত্তা ছাড়া আমাদের কাজ করা সম্ভব নয়।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার প্রণব চৌধুরী বলেন, আমাদের ফায়ার স্টেশনে একটির পর একটি আগুনের খবর এসেছে। কিন্তু আমরা কোথাও যেতে পারিনি। রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বাধা দিয়েছে। এখনো বেঙ্গল ও বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানায় আগুন জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম জানান, দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার পাশে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিক দিয়ে দোকান-পাট ও কারখানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। আশুলিয়া থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক বক্স ও আমাদের লাইনে হামলা করেছে। আমরা কোনো কিছুই করতে পারছি না, শুধু লোকাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছি।