আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল, সরকার তাদের দাবিগুলো মেনে নিতে রাজি হওয়ায় আজ থেকে আর আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনের টানেলের নিচে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা যখনই বসতে রাজি হবে, আমরা তখনই তাদের সঙ্গে বসব। আমরা আজই বসতে রাজি।
তিনি বলেন, আলোচনার জন্য আমাকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী ৭ আগস্ট ২০২৪ সালে যে মামলাটার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সেই শুনানি এগিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিতে। আমি সেই মর্মে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছি যে, আগামী রবিবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে আবেদন করবেন যাতে মামলার শুনানির তারিখ তারা এগিয়ে আনেন।
তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলুরুজ্জামানকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করেছি। এই প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। আমার বিশ্বাস তিনি এ প্রস্তাব রাখবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি এবং বিশদভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করেছি, কোমলমতি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিল, সরকার তাদের কথা বিবেচনা করে দাবিগুলো মেনে নিতে রাজি হয়েছে। তাই আমার মনে হয়, আজ থেকে আন্দোলন করার আর কোনো প্রয়োজন নেই।
সে কারণে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, পিতৃতুল্য নাগরিক হিসেবে তাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে তারা সহিংসতা বন্ধ করে এবং এই আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করে।