নীলফামারী গাছবাড়ীতে নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে পড়ে ০১ জন শ্রমিক মারা যান ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারীর গাছবাড়ি নামক স্থানে এই ঘটনাটি ঘটে ।
নিহত যুবক শ্রী বিপুল চন্দ্র দাস (২০), নীলফামারীর সদর উপজেলা ৫ নং টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ দাস পাড়া ( জালিয়া পাড়া) এলাকার বাসিন্দা শ্রী নন্দ কুমার দাস এর ছেলে।
এবং ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট।
সরজমিনে গিয়ে সেই বাসার মালিকের সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি এছাড়াও সেখানে কাজ করা কোন নির্মাণ শ্রমিক বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন সদস্য কে খুজে পাওয়া যায় নি।
তবে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান বিকেল আনুমানিক ৫ টার দিকে নিচতলা থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে দোতলায় চড়ার সময় হঠাৎ করে পা পিচলে সিড়িতে পড়ে যায় এবং সিমেন্টের বস্তা তার মাথায় পড়ে যায়।
পরে আমরা স্হানীয় কয়েকজন এবং সেখানে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক মিলে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে ।
এদিকে নিহত বিপুল চন্দ্র দাস এর বাবা নন্দ কুমার দাস এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার ছেলে দীর্ঘ দিন ধরে এই কাজ করে কোন দিন কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু আজকে হঠাৎ করে কেন এমন টি হলো আমি চিন্তা করতে পারছি না , ছেলে আমার সাথে সবসময়ই কথা বলে কাজে যেতো , তবে আজকে কোন ফোন দেয়নি আমার বাবা , আমার বাবার একি হলো ৷ আমি এখন কি নিয়ে থাকবো, কে আমাকে বাবা বলে ডাকবে কে বাজার খরচ করে আনবে একথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । এবং পুরো এলাকায় নেমে পড়ে শোকের ছায়া।
প্রতিবেশি কয়েকজন জানান বিপুল খুব ভালো ছেলে ছিলো সে কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি সবার সাথে মিশত সবাই কে খুশিতে রাখতো কিন্তু হঠাৎ একি হয়ে গেলো ছেলেটার আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যে ছেলেটি মারা গেলো।
এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন খবর পাওয়া মাত্র আমরা সেখানে অর্থাৎ ঘটনা স্হলে যাই এবং সেখান কার স্হানীয় লোক জনের সাথে কথা বলি।
আর নিহত বিপুল চন্দ্র দাস এর পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ হাসপাতাল থেকে আইনীপ্রক্রিয়া শেষে করে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করি ।