সৌদি আরবের একটি আসবাবপত্রের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত দুইজনের বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। তারা হলেন উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩) ও বিষা ইউনিয়নের উদয়পুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত রহমান সরদারের ছেলে আব্দুল বারেক সরদার (৪৫)।সংসারে সচ্ছলতা আনতে চার বছর আগে ঋণ করে সৌদি পাড়ি জমান রমজান আলী। ৯ বছর আগে তার বাবা মারা যান। তারা দুই ভাই ও এক বোন। ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় রমজান। সবার ছোট ভাই ইমরান। তিনি সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে ——
সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত দুইজনের বাড়ি নওগাঁয়নিহত রমজানের ফুফা আব্দুস সাত্তার বলেন, তার বাবা ৯ বছর আগে মারা গেছে। এরপর তাদের সংসার অনেক কষ্ট করে চলতো। চার বছর আগে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ করে সৌদি গিয়ে আসবাবপত্রের দোকানে কাজ করতো রমজান। সে পুরো সংসারের খরচ বহন করতো। এখনো অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছে। এরমধ্য এ দুর্ঘটনা ঘটলো। রমজান মারা যাওয়ায় সংসার এখন অচল হয়ে যাবে। সরকারে কাছে দাবি, ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ মরদেহ দ্রুত দেশে যেন নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, সংসারে সচ্ছলতা আনতে ১২ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান আব্দুল বারেক সরদার। দুই বছর আগে স্ট্রোক করে অচল হয়ে যান তিনি। দীর্ঘ দেড় বছর চিকিৎসা শেষে পুনরায় সৌদি আরবের ওই সোফা কারখানায় কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন বারেকও।নিহত বারেকের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন বলেন, সবশেষ গত ২০২০ সালে ভাই বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর আবারো যান সৌদি আরব। তার দুই মেয়ে আছে। সৌদি আরবে আমাদের এক ভাই এবং ভাতিজা থাকে। তারাই বারেকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের জানায়। ওই পরিবারের বারেক ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এভাবে তার চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছি না। বড় মেয়েটার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এক মেয়েকে নিয়ে বারেকের স্ত্রী বাড়িতে থাকে।
আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, সৌদিতে অগ্নিকাণ্ডে আমাদের উপজেলার দুইজন মারা যাওয়ার তথ্য পেয়েছি। তাদের মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।