নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাদামের বাম্পার ফলনের আশা সম্ভবনা করছেন কৃষক।তাই ২০২৩ সালে চলতি বছর নওগাঁ জেলায় বাদামের ফলন ভালো হওয়ায় হাঁসি-খুশি কৃষকরা। এছাড়া ভালো দাম পাওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। নওগাঁ জেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার উপজেলায় এ বছর বাদাম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হেক্টর জমিতে ঢাকা-১ ও ২, ডিজিএম, বারী এবং ঝিঙ্গা জাতের বাদাম চাষ করা হয়েছে।-মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়ন চৌমাশিয়া সরকার পাড়ার কৃষক শ্রী সুকুমার চন্দ্র সরকার বুদ্যুৎ সরকার গোনেষ পাহান বুদুপাহান শুধু পাহান (সুদু)
এছাড়া রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নে হামিদপুর, জালালাবাদ ও কালীকাপুর গ্রামের কৃষকরা জাম থেকে বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।-মিরাট গ্রামের কৃষক জামাল মোস্তফা জানান, দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এবার বৃষ্টির কম হওয়ার কারণে বাদাম বড় হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। বাদাম চাষ করতে খরচ ও পরিশ্রম খুবই কম। বিঘা প্রতি প্রায় চার হাজার টাকার মত খরচ হয়। তবে বাদাম চাষে জমিতে কোনো কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।-কৃষক জাকির জানান, বিল অঞ্চলের এ জমিগুলো আলু চাষ করার পর পড়ে থাকতো। এবার সেই জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। কাঁচা বাদামের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং শুকনা বাদাম সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা।–কৃষক জাবেদ আলী জানান, গত বছর দশ কাঠা জমিতে বাদাম চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এবার ২৫ কাটা জমি বর্গা (আদি) নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন।-এ বিষয়ে জেলার রানীনগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার বলেন, “এ উপজেলায় এবার ২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। পতিত জমিতে ঝিঙ্গা ও ঢাকা-১ জাতের বাদাম চাষ করে ভাল ফলন পাওয়ায় কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে।