নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং জড়ীতদের কঠোর বিচার দাবিতে নওগাঁয় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খুনির শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন
বৃহস্পতিবার দুপূরে নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্প গোষ্ঠী, সামাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং চারণ সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলাদেশ উদীচী শিল্প গোষ্ঠী নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউল হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাসদের নওগাঁর আহবায়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল, সিপিব‘র নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সিপিবি’র সাবেক সভাপতি ও সদস্য প্রদ্যুৎ ফৌজদার, উদীচীর সহ-সভাপতি উৎপল সাহা, উদীচীর নওগাঁর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, চারণ সাংস্কৃতিক নওগাঁর সদস্য সচীব আলিফ পাহান, সিপিবি’র সদরের সাধারণ সম্পাদক আলীমূর রেজা, বাসদ শাহিন চৌধুরী এবং
শ্রী সুবল চন্দ্র মন্ডল প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, বখাটে কর্তৃক প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারনে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল থেকে বান্ধবীদের সাথে বাড়ি ফেরার পথে পথ আটকিয়ে বখাটে কাওসার ধারালো দা দিয়ে মুক্তিরাণীকে কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুক্তিকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মুক্তি মারা যান। ঘটনায় পরদিন বুধবার অভিযুক্ত কাওসারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। বক্তরা আরো বলেন, সারাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই এই ভাবে প্রকাশ্যে হত্যাকান্ড চালোনো হচ্ছে। এই নৃশংস হত্যার সাথে জড়িত হত্যাকারী কাওসারসহ আরো জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত বখাটে কাওসার নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার প্রেম নগর গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে।
নিহত মুক্তা রাণী বর্মণ বারহাট্টা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে। সে প্রেম নগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।