নওগাঁর মান্দায় গুম মামলার ভিকটিম হোটেলবয় কাওসার আলীকে (১৮) জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকার নয়ন হোটেল এ- রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মঙ্গলবার তাকে নওগাঁ আদালতে নেওয়া হয়েছে।কিশোর কাওসার আলী উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের সদলপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। বানিসর (কালিতলা) বাজারে সোহাগ বাবুর হোটেলে সে বয়ের কাজ করছিল। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সে নিরুদ্দেশ হয়।
ঘটনায় হোটেল মালিক সোহাগ বাবুর বিরুদ্ধে কাওসারকে অপহরণের পর হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে গত ২৯ মার্চ নওগাঁ আদালতে মামলা করেন তার বাবা আজিম উদ্দিন। মামলায় হোটেলের দুই কর্মচারীকেও আসামি করা হয়।
হোটেল মালিক সোহাগ বাবু বলেন, ‘বানিসর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আমি হোটেল ব্যবসা করে আসছি। এ দোকানে কাওসার আলী বয়ের কাজ করে। গত ১ জানুয়ারি সকালে কাওসার ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙে ৬ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে টাকা নেওয়া কথা স্বীকার করে পরে দিবে বলে জানায়। এরপর থেকে সে নিরুদ্দেশ হয়।’
সোহাগ বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পর কাওসারের বাবা আজিম উদ্দিন আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করায় ছেলে কাওসারকে অপহরণ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ডভূক্ত করে তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই সুব্রত কুমারকে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিম কাওসারকে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি হোটেল থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ভিকটিম কাওসারের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য মঙ্গলবার নওগাঁ আদালতে পাঠানো হয়েছে।