নওগাঁর মান্দায় এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় অবস্থিত শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে উত্যক্তের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘বিকেলে আমার বন্ধুকে নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে পশ্চিম পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। ওই পথ দিয়ে মান্দা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ফায়ার ফাইটার আল শাহরিয়ার যাওয়ার সময় সেখানে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার হাত ও ওড়না ধরে টানাটানি করে। এর প্রতিবাদ করায় ফায়ার ফাইটার শাহরিয়ারের সঙ্গে আমার বন্ধুর হাতাহাতি হয়। শাহরিয়ার বেশ কিছুদিন ধরে মোবাইলফোনেও আমাকে বিরক্ত করে আসছিল।’
আহত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আসিফ জানায়, ‘ছাত্রীকে উত্যক্তের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ফায়ার ষ্টেশনে গেলে সেখানে থাকা লোকজন আমাদের আটকে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
অভিযুক্ত ফায়ার ফাইটার আল শাহরিয়ার বলেন, ওই ছাত্রী আমার এলাকার হওয়ায় আগে থেকেই পরিচয় ছিল। বিকেলে কাপড় ক্যালে-ার করার জন্য আমি বোর্ডবাজারে যাচ্ছিলাম। পথে উল্লিখিত স্থানে ওই ছাত্রী মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আগন্তুক যুবকের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
আল শাহরিয়ার অভিযোগ করে বলেন, ‘পরে স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে আমাকে মারধরসহ মোটরসাইকেল ও ২৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।’
মান্দা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুন্নবী বলেন, ‘আমার বাউ-ারির বাইরে কী হয়েছে তা জানি না।
তবে টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষার্থী ও বহিরাগত কিছু লোকজন ষ্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুড়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে জানাতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি।