রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার অবস্থিত রাজাবাড়ীহাট আঞ্চলিক গবাদিপশু দুগ্ধ খামারের উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে গোপণে চুরি করে গরু পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। এখবর জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য উঠে এসেছে, খামারের উপ-পরিচালক বলেন, একটি বড় গাভীর সামনের দুটি পাঁয়ে পচন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। যে কোনো সময় মারা যেতে পারতো। সেই জন্য ইমারজেন্সি নিলামে সাড়ে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। রাজাবাড়িহাট গ্রামের বাবলু নিযেছেন।নিলামে ৩ জন অংশ নিয়েছিলেন বাবলু বেশী দাম বলায় তাকে দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ এপ্রিল বুধবার গভীর রাতে রাজাবাড়ী হাট খামার থেকে একটি বড় সাইজের গরু নিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ সময় তারা গরুসহ বাবলুকে আটক করে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে খবর পেয়ে খামারের উপ-পরিচালক তড়িঘড়ি করে সাড়ে ১৩ হাজার টাকার একটি বিক্রয় রশিদ নিয়ে আসেন। স্থানীয়রা জানান, যেখানে একটি বাছুরের মুল্য ৩০ হাজার টাকা। সেখানে একটি বড় সাইজের গাভী গরুর দাম ১৩ হাজার টাকা হয় কি ভাবে। আবার গরুর যদি সামনে দুই পায়ে পচন ধরে তাহলে গরু নিয়ে হেটে গেলেন কিভাবে। তারা বলেন, আসলে চুরি করে গরু বিক্রির পর তারা এসব নাটক করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিচালক বলেন, নিয়ম মেনে ইমারজেন্সি নিলামে সাড়ে ১৩ হাজার টাকায় একটি অসুস্থ গরু বিক্রি করা হয়েছে। কিন্ত্ত এসব না বুঝেই এলাকার কিছু বখাটে যুবক চাঁদাবাজি করতে গরু আটক করেছিল, পরে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে তারা গরু নিয়ে গেছেন।