সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
পাঁচবিবিতে আলোচনার শীর্ষে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিনারা টুনি সীতাকুণ্ডে লোকালয় থেকে ব্রিটিশ আমলের গ্রেনেড উদ্ধার নতুন সিনেমায় সোহেল মন্ডল-আইশা খান শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘সুস্বাগতম’ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার পাঁচবিবিতে কৃষি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত খুলনার দাকোপের বাজুয়া চুনকুড়ি দাসপাড়ায় পরকিয়ার জের ধরে গৃহবধুর আত্নহত্যার ঘটনার ভিন্ন মত পোষন করেছে শংকর দাস কচুয়ায় তালা মার্কা ভোট চেয়ে বিরামহীন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক রাকিবুল হাসান পাঁচবিবিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেয়ায় বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে: রংপুরে দীপু মনি কালীগঞ্জে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত পূবাইলে গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে ছিনতাই রায়পুর উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করায় এমপির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন খুলনার দাকোপের লাউডোব ইউনিয়নের ২০২৪-২৫ উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে অনাবৃষ্টি জনিত লিচুর ফলন হ্রাস, বাগান মালিকের মাথায় হাত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

১০ একর ৪৩ শতাংশ সম্পত্তি ফিরে পেলো নিরীহ ফাতেমা বেগম এর পরিবার-দৈনিক বাংলার অধিকার

মোঃ নাসির উদ্দীন, কচুয়া প্রতিনিধি, / ১৬৮ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৪৫ অপরাহ্ণ

চাঁদপুরের বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালত অরুন পাল এর নিদের্শনা কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের মাষ্টার বাড়িতে অবৈধ বাড়িঘর দখলীয় নাল ও ভিটা সম্পত্তি উচ্ছেদ করে ভূমির মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন, কচুয়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন।

বাদী ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত আমরা আমাদের সম্পত্তি বুঝে পাইনি। আমার স্বামী এই সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার জন্য আদালত পাড়া ও বিভিন্ন স্থানে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের ১৯ বছর পর হলেও জেলা জজ আদালত ন্যায় বিচারের রায় দিয়েছেন। আদালতের রায়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছি। আজকে আদালত লাল নিশান টানিয়ে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমরা আদালতের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম এর ছেলে মেহেদী হাসান ইমন জানান, চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা দীর্ঘ শুনানি পর্যালোচনা শেষে প্রায় ১৯ বছর পর বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। পাশাপশি স্থায়ী ভাবে ভোগ দখলে যাতে যেতে পারি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিবাদী পক্ষ মো. হুমায়ুন কবির জানান, কোনো লিগ্যাল নোটিশ ছাড়াই আমাদের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনেকদিন ধরে আদালতে মামলা চলেছে, আজকে আদালতের লোকজন ভূমি সার্ভে করে বাদীর সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ভূমি সার্ভে শেষ হলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের সম্পত্তি ঠিক আছে কিনা। যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

জেলা যুগ্ম জজ আদালতের নায়েব নাজির গাফফার খান নাদিম জানান, কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ির ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম গং বাদী হয়ে ২০০৪ সালে চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি দেওয়ানি বন্টন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২২/২০০৪। দীর্ঘদিন মামলা চলে আসার পর ২০২১ সালের জুন মাসে বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম জজ মামলাটির রায় ঘোষণা ও ডিগ্রি জারি করেন। এতে বাদী ফাতেমা বেগম গংরা ১০ একর ৪৩ শতাংশ ৮০ পয়েন্টে সম্পত্তি ফিরে পায়। আদালতের রায় অনুযায়ী আজকে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ভূমি সার্ভে করে লাল নিশান টানিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। এছাড়া বাদীর প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে এবং আদালতের রায় কার্যকর করতে ব্যবস্থা নিয়েছি।

কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে এসেছি।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন,ইউপি সদস্য হান্নান মিয়া, পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!