নওগাঁয় পটলের দাম কম হওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত
নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় এ মৌসমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কয়েকদিনের টানা বর্ষনের ফলে পটলের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদিত পটল নিয়ে বিড়ম্বনায় পরেছে চাষীরা। এ অবস্থায় বৃষ্টিতে পটলের গাছ মরে যাওয়াসহ বাজারে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটলের দাম অনেক কমেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটলের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০-১৫ টাকা। বর্তমানে কৃষকরা পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৯-১০ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় এক হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হয়েছে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পটল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে সবমিলিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রতি বিঘা জমির উৎপাদিত পটল ৯০-১লাখ টাকা বিক্রির আসা ছিল তাদের। ভারি বৃষ্টি ও আমদানি বেশি থাকায় কারণে পটলের দাম পাচ্ছে না চাষিরা। প্রতি মণ পটল বর্তমানে বাজারে ৪শ থেকে ৫ শ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
কুসুম্বা ইউনিয়নের চককানু গ্রামের পটলচাষি এনামুল মন্ডল বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে পটলের আবাদ করছি প্রথমের দিকে পটলের খুবই ভালো দাম পেয়েছি। এখন আর ভালো দাম পাচ্ছি না। আগে তো এখানকার পটল দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেত, এখন আর যাচ্ছে না। বর্তমানে ৪শ থেকে ৫শ টাকা প্রতি মন পটল বিক্রি করছি। আবার বৃষ্টির কারনে পটলের গাছও মরে যাচ্ছে।
মান্দা সদর ইউনিয়নেন চকমনসুর গ্রামের সোনামালি বলেন, বৃষ্টির কারণে পটলের গাছ মরে যাচ্ছে, খেতে পানি জমেছে। বর্তমানে পটল বাইরের জেলাতে না যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমেছে। না বিক্রি করে তো কোন লাভ নাই, যা পাচ্ছি তাই লাভ, এতো পটল কি করবো আমরা।
মহাদেবপুর উপজেলা ১০ নং ভীমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রমের মৃতঃ শ্রীনারায়ন চন্দ্র বাঙ্গালের ছেলে শ্রী নরেশ চন্দ্র বাঙ্গার(ঠুনা) প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন আশাছিল এবারে ডেড় থেকে- দুইলক্ষ টাকা বিক্রয়ের সম্ববনা করছেন।
কিন্তু তার আশাপুরন হবে কি? বর্তমানে পোটল চাষিদের মাথায় হাত, ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের ৯নং চৌমাশিয়া গ্রামে আদিবাসী পাড়ার রবিপাহান বলেন এবারে পোটল চাষিদের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে পটলের উৎপাদন হয়েছে এবং যে সময় বাজারে কোন সবজির উৎপাদন বেশি হয় ঠিক সে সময়ে দামটা একটু কমে যায়। বর্তমানে বাজারে ১০-১২ টাকা প্রতি কেজি পটল বিক্রি করছেন চাষিরা। কৃষকরা এতো টাকা পয়সা খরচ করে যদি ন্যায মূল্য না পায় তা তো অবশ্যই হতাশার।