শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

নওগাঁয় আবারও কালবৈশাখীঝড়ের তান্ডবে আমের কেজি পানির দামে, কেনার কেউ নেই-দৈনিক বাংলার অধিকার

উজ্জ্বল কুমার সরকার,নওগাঁ প্রতিনিধি / ১৮৫ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ২১ মে, ২০২২, ৮:১৩ অপরাহ্ণ

আবারও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত মণ আম ঝরে পড়েছে কেনার কেউ নেই
জেলার সাপাহারের আম বাগান গুলোতে,আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে।
গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো কালবৈশাখীর হানায় আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২০ মে) সাপাহারের আমবাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়। ঝরে পড়া আম কেনার ধুম পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি আম কিনছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষিরা বলছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, নাক ফজলী, আম্রপলী, বারি-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও নাক ফজলী জাতের আম বেশি ঝরেছে।
সাহাপাড়া গ্রামের আমচাষি তরুণ সাহা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘২০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। যা বাজারে বিক্রি করতে এসে মাত্র ২-৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, গত রাতের কালবৈশাখীর তান্ডব আমের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাতে করে এ বছরে আম বাজারের গতি অনেকটা পাল্টে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
আমচাষি সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমার প্রায় ১শ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। যাতে করে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই এলাকার সুনাম সারাদেশেই রয়েছে। তবে যদি আম সংরক্ষণাগার বা কোন জুস কোম্পানি থাকতো তাহলে কাঁচা আম বিক্রয়ে এতোটা লোকসান বহন করতে হতো না আম চাষিদের।’
উমইল গ্রামের আম ব্যবসায়ী মকছেদুল হক ‘৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ আম কিনছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানিতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিমণ আমে ২০-২৫ টাকা লাভ হতে পারে।’
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল কালবৈশাখীর কবলে পুরো উপজেলায় ২ শতাংশ আম ঝরেছে। যার মধ্যে ল্যাংড়া ও নাকফজলী বেশি ঝরেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে। তবে ২-৩ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রয় হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!