শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি পাঁচবিবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শিখার পক্ষে কাজ না করতে নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপির নির্দেশ পাঁচবিবিতে বোরো ধান চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা অনুষ্ঠিত ক্যান্সার আক্রান্ত স্কুলছাত্রের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন সুন্দরবন নিউজ টিম পূবাইলে কথা-কাটাকাটি জেরে,ভাড়াটিয়া পরিবারকে হত্যার চেষ্টা,নারী-বৃদ্ধসহ আহত ৬ কুড়িগ্রামে দুটি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান; একটিকে জরিমানা অপরটি বন্ধ ঘোষণা পাঁচবিবি দারুল ইসলাহ একাডেমীর শিক্ষার্থীদের সাফল্য কুমিল্লায় চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে মানববন্ধন দাকোপে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে খেলতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই শিশুর বকশীগঞ্জে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী’র
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

সোনালী ফসল পাটের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে সোনালী হাসি- দৈনিক বাংলার অধিকার

ফরিদ মিয়া, নান্দাইল ময়মনসিংহ / ৭০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১, ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ভাসছে সোনালী হাসি। পাটের আশঁ ছাড়ানো, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে নান্দাইলের পাটচাষীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি পাটের দামও বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লাভের মুখ দেখছে। বর্তমানে বাজারে পাটের ভালো দামও আছে, প্রতি মণ পাট ৩২০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই সঠিক সময়ে ন্যায্য দাম পাওয়ার লক্ষ্যে এলাকার কৃষক-কৃষাণিরা রাস্তাঘাট, মাঠ, তের আল, ডোবায়, নদীর তীরে ও বাড়ির আঙিনায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন তারা। সোনালী আঁশের সোনালী রঙে ভরে গেছে কৃষকের ঘর।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে নান্দাইলের বিভিন্ন গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জমিতে ল্যমাত্রার চেয়েও ব্যাপকভাবে সোনালী আঁশের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিভিন্ন গ্রাম ও চরাঞ্চলের সমতল ও অসমতল জমিতে এ বছর পাটের আবাদ ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৯৫ হেক্টর জমিতে। তন্মধ্যে দেশীয়, তোষা, মেশতা ও অন্যান্য জাতের পাট রয়েছে। স্থানীয় পাট চাষী সাইফুল ইসলাম ও শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে সার, বীজ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ কম ও অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সোনালী আঁশের ফলন অধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাটের সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে বলে মনে করছেন পাট চাষীরা।

এছাড়া পাইকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়েও পাট কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তাই ভালো ফলন ও আশানুরূপ দাম পেয়ে বিগত বছর গুলোতে লোকসানে পড়া কৃষকদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি ফুটে উঠেছে। তবে এ কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরই পাটের আঁশ ছাড়াতে দেখা যায়। তারা পাটের আঁশ ছাড়ালে পাটখড়ি পাবে। তাই দিনে ৫০ থেকে ৬০টি পাটের আঁটির আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে যেমন মালিকের লাভ, তেমনি তাদেরও লাভ রয়েছে বলে আশঁ ছাড়ানো কৃষাণিরা জানান। এদিকে পাট চাষিরা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ, সেচ, রাসায়নিক সার প্রয়োগ, পাট কাটা, শুকানোসহ খরচ হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। গত বছর বিঘাপ্রতি ৭/৮ মণ পাট পাওয়া গেছে।

কিন্তু এবার ফলন ভালো হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১০/১২ মণ পাট পাওয়া যাবে। পাটের ভালো দাম থাকলে আগামীতেও পাটের চাষ আরো বাড়বো। নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, প্রশিণ ও মাঠ পর্যায়ে দেখাশোনা করায় ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা ও ভর্তুকী কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ায় তারা আরও বেশী উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে পাটের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাট চাষ দিন দিন বাড়ছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!