২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদ্যাপন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৭টায় নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর র্যালি, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা পালন, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকাল ৭টায় নগর ভবনে শুরুতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর কাউন্সিলরব, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের বঙ্গবন্ধু ও তঁার পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান সহ জাতীয় চার নেতা ও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর নগর ভবন থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি দড়িখরবনা মোড় হয়ে মহিলা কলেজের সামনে দিয়ে মালোপাড়া হয়ে সোনাদিঘির পাশ দিয়ে লোকনাথ স্কুলের সামনে হয়ে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শহীদ মিনারে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কাউন্সিলরবৃন্দ। এ সময় কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, পুষ্পস্তবক অর্পণ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আকতারুজ্জামান, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল আমিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিল আয়েশা খাতুন, মুসলিমা বেগম বেলী, মাজেদা বেগম, উম্মে সালমা, নাদিরা বেগম, লাইলি বেগম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুর ইসলাম তুষার সহ বিভিন্ন শাখা প্রধান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমির আহম্মেদ মামুন সহ কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসের কর্মসূচির মধ্যে আরো আছে সূযোর্দয়ের সাথে সাথে নগর ভবন সহ ওয়ার্ড কার্যালসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাদ জুম্মা সোনাদিঘি জামে মসজিদ সহ ওয়ার্ডের প্রত্যেক মসজিদে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত সহ দেশ ও জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া এবং সুবিধাজনক সময়ে অন্যান্য ধর্মীয় উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, বিকেল ৪টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার একাদশ বনাম মেয়র একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি, নগর ভবন সহ বিভিন্ন স্থাপনা, সড়কদ্বীপ সমূহ ও মহাসড়কের প্রধান গেটগুলো আলোকায়ন।