রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকালে ১১ টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর দরখাস্ত প্রদান করেছেন-নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম (৪০)। মুসাব্বিরুল ইসলাম এই মামলার বাদি।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু (৬২), বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলু (৫৭), রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র মােসাদ্দেক হােসেন বুলবুল (৫৪), সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন (৫৫)কে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়- গত ২ মার্চ রাজশাহী বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই সাধারণ উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং প্রাণ নাশের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে। এসময় তিনি বলেন-“হাসিনা রেডি হও- আজ সন্ধ্যার সময়- কালকে সকাল তােমার নাও হতে পারে, মনে নাই পচাত্তর সাল, পচাত্তর সাল মনে নাই” (উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মদদে কর্ণেল ফারুখ রশিদসহ কতিপয় বিপথগামী সামরিক বাহিনীর লােক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।) উক্ত ঘােষণার পর বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে উগ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে।
বিএনপি-র কতিপয় নেতা কর্মী সমাবেশে উদ্দেশ্যে মূলকভাবে ফেইসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। সমাবেশে মঞ্চে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদুস তালুকদার দুলুসহ অন্যন্যা আসামীরা একইভাবে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ঘৃণা- বিদ্বেষ সৃষ্টি করেন। বেআইনি ভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকার উৎখাতের হুমকি পরিদর্শন করেন।
এতে আরও বলা হয়- আসামীগণ পরস্পর যােগসাজসে ও সহযােগিতায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিভাগীয় সমাবেশ’র আয়ােজনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ নির্বাচিত সরকার উত্থাতের প্রকাশ্য ঘােষণা ও হুমকি প্রদর্শন করে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধ করেছে। আসামীরা সমাবেশের বক্তব্য ও কার্যকলাপ বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি বিপদ জনক ও হুমকী স্বরূপ অপরাধ করেছেন।
মামলার বাদি মুসাব্বিরুল ইসলাম বলেন, গত ২ মার্চ বিএনপি সমাবেশের নামে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করে প্রাণ নাশের হুমকিসহ রাষ্ট্রবিরোধী, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণে এই মামলা করা হয়েছে। বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলার যে অনুমদন প্রয়োজন হয় তা-জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর দরখাস্ত প্রদান করা হয়েছে। এটি যথাযথ প্রক্রিয়া পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে তদন্ত হয়ে সেটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের অনুমদন হয়ে আসলে তার পরে নিয়মিত মামলা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন- নগর বিএনপি সভাপতি মােসাদ্দেক হােসেন বুলবুল। সঞ্চালনা করেন- সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। এই বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।