শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ‌ ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত স্মাট উপজেলা গড়তে জনগণ আমাকে ভোট দিবে : অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর (তনু) জাবির লেকে দৃষ্টিনন্দন পদ্ম ঘিরে ভ্রমণ পিপাসুদের উন্মাদনা সীতাকুণ্ডে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলার আসামী গ্রেপ্তার নবীনগরে হয়রানির আরেক নাম ইউএনওর সিএ কামরুল ৬১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ ভৈরব ক্যাম্প প্রিমিয়ার শো’র মাধ্যমে মুক্তি পেলো এস.ডি.জীবনের ওয়েব ফিল্ম ‘দুনিয়ার খেলা’ নারী সমর্থ্য উন্নয়নে সুশিলন (স্বপ্ন প্রকল্প ২) আওতায় রাস্তা সংস্কারের কাজের শুভ উদ্বোধন। হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন তাজুল ইসলাম তাজ। লক্ষ্মীপুরে দস্যুদের অত্যাচারে নিঃস্ব কৃষক কোটি টাকার ফসল লুট নেই কোন প্রতিকার ছাতকে দুর্বিন শাহের নামে সেতু ও পাগল হাসানের নামে চত্বরের প্রস্তাব সংসদে উত্থাপন তপস্বী দাকোপে চেয়ারম্যান ৬, ভাইস চেয়ারম্যান ৭ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল বগুড়া শেরপুরে বাংলাদেশ তাঁতী লীগের উপজেলা কমিটি গঠন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ময়মনসিংহে সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগে দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ-দৈনিক বাংলার অধিকার

নেএকোনা প্রতিনিধিঃ / ৩৫৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশের এসআই আক্রাম হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন উল্লেখ করে জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ বাহাদুর আদালতে মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের পক্ষে আইনজীবি এ্যাডভোকেট খায়ের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইন ২০১৩ এরে ১৩(১), ২(খ), ১৫ (১) ও ১৫ (৩) ধারায় এই মামলা করা হয়। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে বাদী সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের জবান বন্দী রেকর্ড করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এসআই আকরাম হোসেন তাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে রাখার নামে অকথ্য নির্যাতন চালায় যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আক্রামের যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলক ২টি মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দুই মাস থাকতে হয় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে । জেলখানায় নির্যাতন করতে ফোনে করা হয় তদবির,তাদের নামের তালিখা এবং ফোন নাম্বার যাচাই করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন করেছেন সাংবাদিক রফিক । মামলার দেওয়ার আগে তার চোখ বেঁধে অকথ্য নির্যাতন করে এসআই আকরাম হোসেনসহ অন্য বিবাদীরা।

ফাইল ছবিঃ এসআই আকরাম

এসআই আকরামের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রফিক ইতিমধ্যে পুলিশের ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং’ সেলে দুটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। যার অভিযোগ নম্বর SL-17 এবং তারিখ ৫ই জানুয়ারি ২০২১।
অভিযোগ পত্রে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেইটের বিপরীত দিকে আমি অবস্থান করছিলাম । এসআই আকরামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশ আমার চোখ বেঁধে একটি কালো গাড়িতে করে আমার পত্রিকার ময়মনসিংহে শহরের চরপাড়া কার্যালয়ে নিয়ে যায় । সেখানে থাকা আমার জমি ক্রয়ের দলিল, ব্যাংকের চেক ও কম্পিউটার জব্দ করে । দলিল ও ব্যাংক চেক প্রতিপক্ষের কাছে তুলে দিয়ে জব্দ দেখানো হয় শুধু কম্পিউটার । সেখান থেকে আমাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পুরাতন গুদারাঘাটস্থ দুর্গম চর এলাকায় । দুচোখ বেঁধে দু হাত পেছনে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয় । কিন্তু দুই বছর পরে কেন বিষয়টি সামনে এনেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিক রফিক জানান, তিনি ঘটনাটি চক্ষু লজ্জার কারনে সামনে আনতে পারেননি এতদিন। তিনি জানান গত বছরের ডিসেম্বরে ২২ তারিখে অজ্ঞাত কোন এক ব্যাক্তি তার ম্যাসেঞ্জারে চোঁখ বাঁধা ছবি প্রদান করেন। যা দেখে তিনি আতঁকে উঠেন এবং সেই সব নির্যাতনের দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসতে শুরু করে। এর পরপরই তার এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হতে শুরু করে। একারনেই দুইবছর পর মুখ খুললেন বলে জানান তিনি। এবিষয়ে এসআই আকরাম হোসেন বলেন, ওনি (খায়রুল আলম রফিক) আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ দিয়েছে তা আমি এখনও দেখি নাই। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। তবে এর আগেও ২০১৮ সালে তিনি (খায়রুল আলম রফিক) আমার নামে একটি অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দিয়েছিল। সেটা পুলিশ হেডকোয়ার্টাস হয়ে আমাদের ময়মনসিংহে এসেছিল। এখানে আমার সিনিয়র যারা আছেন তারা বিষয়টি তদন্ত করেছে। তৎকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে করা তার (খায়রুল আলম রফিক) কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই আমার বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নিতে পারেনি আমার সিনিয়ররা। ওনার (খায়রুল আলম রফিক) সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই। ওনি কেন এসব করছে জানি না। আর আমি ওনাকে কোন মামলায় আটকও করিনি। আটক করেছে কে আমি জানিনা? মনে হয় মামলার তদন্তকারী অফিসার।
চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছেন এমন প্রশ্নের উওর জানতে চাইলে এসআই আকরাম হোসেন বলেন, চোখ বাধা হয়েছে কিন্তু কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
জানতে চাইলে কেন চোখ বেদে ছিলেন, উওরে কোন কথা বলেনি, পরে বলেন জুয়েল সব জানে। আর আমার বিরুদ্ধে যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজস থাকে সেটা প্রমাণিত হলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এতে আমার কোন আপত্তি নেই।’


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!